গল্পে গল্পে ধাঁধা-১০|উত্তরসহ ভীষণ মজার তিনটি গল্পধাঁধা|সংগ্রহ ও সম্পাদনা -গিয়াস উদ্দিন| মজার ধাঁধার আসর| মজার মজার সব ধাঁধা
গল্পে গল্পে ধাঁধা-১০|উত্তরসহ ভীষণ মজার তিনটি গল্পধাঁধা|সংগ্রহ ও সম্পাদনা -গিয়াস উদ্দিন
১•
ধূধূ মরুভূমি প্রচন্ড গরম এর মধ্য দিয়ে দূরপথ পাড়ি দিচ্ছে তিন দুর্ধর্ষ ডাকাত— সল্টু, বল্টু আর কুম্ভ। তিনজনের কাছেই ব্যাগভর্তি ডাকাতির মালামাল, তিনদিন আগে এক অভিযাত্রীদলের সব টাকা-পয়সা লুটে নিয়েছে তারা। শেষ মুহূর্তে একটু ঝামেলায় পড়ে গোলাগুলিও হয়েছে। তাতে আহত না হলেও সল্টু আর বল্টুর পানির বোতল ফেটে গেছে। এখন পানিভরা বোতল আছে শুধু কুম্ভের কাছে।
.
কুম্ভের ওপর সল্টুর প্রচণ্ড রাগ। ঘৃণা করে সে কুম্ভকে। কুম্ভ প্রচণ্ড শক্তিশালী, আর সামনে কোনো পানির সন্ধান পাওয়ার আগে সে নিজের পানির বোতল থেকে এক ফোঁটা পানিও দেবে না কাউকে। ধূর্ত সল্টু এ জন্য পরিকল্পনা আঁটল, খুন করবে সে কুম্ভকে।কিন্তু কীভাবে?
.
সল্টুর কাছে আছে ভয়ংকর বিষ। যে খাবে সে কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রাণ হারাবে। দক্ষ চোর সল্টু, কুম্ভুর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঠিকই বিষ মিশিয়ে দিল পানির বোতলে। এখন শুধু অপেক্ষা। কুম্ভ পানি খাবে আর ছটফট করে মারা যাবে— বিষয়টি ভাবতেও ভালো লাগছে সল্টুর।
.
কুম্ভের ওপর বল্টুর ও অনেক রাগ। কিন্তু বল্টুর মাথায় এত বুদ্ধি নেই, সে কেবল হিংস্র! সে ঠিক করল, কুম্ভ যেহেতু কাউকে পানি খেতে দেবে না, কাজেই সেও কুম্ভকে পানি খেতে দেবে না। সে গুলি করে দিল কুম্ভের পানির বোতলে। তার পর পানি ছাড়া কুম্ভকে ফেলে পালাল দুজনেই। কারণ, কুম্ভের মতো স্বার্থপরের সঙ্গে তারা আর একমুহূর্তও থাকতে চায় না। এর পরপরই মারা গেল কুম্ভ।
.
প্রশ্ন হল, কুম্ভের খুনি কে? সল্টু না বল্টু?
২•
এক লোক নির্জন উপকুলে একা বাস করতো সে কখন ও প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হত না
একদিন সন্ধা বেলা হঠাত্ তার প্রচন্ড জ্বর উঠলো এবং বাইরে ও ঝড় বৃষ্টি শুরু হল প্রতিদিনের মত বাতি না জ্বালিয়ে রাতের খাবার না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো
পর দিন সকালে অনেক মানুষের মৃত্যুর দায়ে পুলিশ ঐ লোকটি কে ধরে নিয়ে গেল..
কিন্তু কেন?
৩•
আনিস সাহেব খুন হয়েছেন উনাকে খুন করেছে তার বাড়িতে থাকা চার কর্মচারীর মধ্যে একজন।
পুলিশের কাছে উড়োফোনে খবর আসলো যে আনিস সাহেবের বাড়িতে থাকা চার কর্মচারীর মধ্যে কালাম নামের এক কর্মচারী উনাকে খুন করেছে
আনিস সাহেবের বাড়িতে যে চারজন কাজ করতো তারা হল
১। কেয়ারটেকার
২।ক্লিনার
৩।বাবুর্চী
৪।পি এস
তো যথাসময়ে পুলিশ আসলো চার কর্মচারীকে শুধুমাত্র একটি প্রশ্ন করলো আপনারা চারজন কি আনিস সাহেবের কর্মচারী?
তারা বলল হ্যা.. এই উত্তর শোনার সাথে সাথে কোনো ধরনের তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদ না করেই কেয়ারটেকারকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলো।
কিন্তু পুলিশ ঐ চারজনকে নাম জিজ্ঞেস না করে কিভাবে নিশ্চিত হল যে কেয়ারটেকারই আসল খুনি?
উত্তর
১• সল্টু বা বল্টু কেউই কুম্ভের খুনি নয়। কারণ কুম্ভের মৃত্যু বিষয়টি কোনো খুন বা হত্যাকাণ্ড নয়। সে পানির পিপাসায় মরেছে। প্রথমত, কুম্ভের পানির বোতলে বিষ মিশিয়েছিল সল্টু। সেই পানি কুম্ভ খেতেই পারেনি। কাজেই কুম্ভকে খুন করার পরিকল্পনা করলেও তাকে খুন করতে পারেনি সল্টু। সুতরাং কোনোভাবেই সে কুম্ভকে খুন করেনি বা করতে পারেনি। অন্যদিকে, বল্টু গুলি করেছে কুম্ভের পানির বোতলে, কুম্ভকে নয়। কাউকে পানি খেতে না দেওয়ার মানে তাকে খুন করা নয়।কুম্ভ চাইলেই সল্টু বল্টুকে অনুসরন করতে পারতো কিন্তু ব্যাাগভর্তি মালের লোভ সামলাতে পারেনি সে সুতরাং সে পানির পিপাসায় মারা যায়..
২• লোকটি বাতিঘরে চাকরি করতো। ঐ রাতে বাতি না জালানোতে জাহাজ রাস্তা হারিয়ে ডুবে যায় এবং অনেক মানুষ মারা যায়। তাই তাকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।
৩• কেয়ারটেকার ব্যাতিত অন্য তিনজন মহিলা কর্মচারী ছিল.. শুধুমাত্র কেয়ারটেকার পুরুষ কর্মচারী ছিল... সুতরাং উড়োফোনে প্রাপ্ত নাম কালাম হওয়ায় পুলিশ নিশ্চিত হয় যে কেয়ারটেকার আসল খুনি।
গল্পে গল্পে ধাঁধা-১০|উত্তরসহ ভীষণ মজার তিনটি গল্পধাঁধা|সংগ্রহ ও সম্পাদনা -গিয়াস উদ্দিন
১•
ধূধূ মরুভূমি প্রচন্ড গরম এর মধ্য দিয়ে দূরপথ পাড়ি দিচ্ছে তিন দুর্ধর্ষ ডাকাত— সল্টু, বল্টু আর কুম্ভ। তিনজনের কাছেই ব্যাগভর্তি ডাকাতির মালামাল, তিনদিন আগে এক অভিযাত্রীদলের সব টাকা-পয়সা লুটে নিয়েছে তারা। শেষ মুহূর্তে একটু ঝামেলায় পড়ে গোলাগুলিও হয়েছে। তাতে আহত না হলেও সল্টু আর বল্টুর পানির বোতল ফেটে গেছে। এখন পানিভরা বোতল আছে শুধু কুম্ভের কাছে।
.
কুম্ভের ওপর সল্টুর প্রচণ্ড রাগ। ঘৃণা করে সে কুম্ভকে। কুম্ভ প্রচণ্ড শক্তিশালী, আর সামনে কোনো পানির সন্ধান পাওয়ার আগে সে নিজের পানির বোতল থেকে এক ফোঁটা পানিও দেবে না কাউকে। ধূর্ত সল্টু এ জন্য পরিকল্পনা আঁটল, খুন করবে সে কুম্ভকে।কিন্তু কীভাবে?
.
সল্টুর কাছে আছে ভয়ংকর বিষ। যে খাবে সে কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রাণ হারাবে। দক্ষ চোর সল্টু, কুম্ভুর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঠিকই বিষ মিশিয়ে দিল পানির বোতলে। এখন শুধু অপেক্ষা। কুম্ভ পানি খাবে আর ছটফট করে মারা যাবে— বিষয়টি ভাবতেও ভালো লাগছে সল্টুর।
.
কুম্ভের ওপর বল্টুর ও অনেক রাগ। কিন্তু বল্টুর মাথায় এত বুদ্ধি নেই, সে কেবল হিংস্র! সে ঠিক করল, কুম্ভ যেহেতু কাউকে পানি খেতে দেবে না, কাজেই সেও কুম্ভকে পানি খেতে দেবে না। সে গুলি করে দিল কুম্ভের পানির বোতলে। তার পর পানি ছাড়া কুম্ভকে ফেলে পালাল দুজনেই। কারণ, কুম্ভের মতো স্বার্থপরের সঙ্গে তারা আর একমুহূর্তও থাকতে চায় না। এর পরপরই মারা গেল কুম্ভ।
.
প্রশ্ন হল, কুম্ভের খুনি কে? সল্টু না বল্টু?
২•
এক লোক নির্জন উপকুলে একা বাস করতো সে কখন ও প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হত না
একদিন সন্ধা বেলা হঠাত্ তার প্রচন্ড জ্বর উঠলো এবং বাইরে ও ঝড় বৃষ্টি শুরু হল প্রতিদিনের মত বাতি না জ্বালিয়ে রাতের খাবার না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো
পর দিন সকালে অনেক মানুষের মৃত্যুর দায়ে পুলিশ ঐ লোকটি কে ধরে নিয়ে গেল..
কিন্তু কেন?
৩•
আনিস সাহেব খুন হয়েছেন উনাকে খুন করেছে তার বাড়িতে থাকা চার কর্মচারীর মধ্যে একজন।
পুলিশের কাছে উড়োফোনে খবর আসলো যে আনিস সাহেবের বাড়িতে থাকা চার কর্মচারীর মধ্যে কালাম নামের এক কর্মচারী উনাকে খুন করেছে
আনিস সাহেবের বাড়িতে যে চারজন কাজ করতো তারা হল
১। কেয়ারটেকার
২।ক্লিনার
৩।বাবুর্চী
৪।পি এস
তো যথাসময়ে পুলিশ আসলো চার কর্মচারীকে শুধুমাত্র একটি প্রশ্ন করলো আপনারা চারজন কি আনিস সাহেবের কর্মচারী?
তারা বলল হ্যা.. এই উত্তর শোনার সাথে সাথে কোনো ধরনের তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদ না করেই কেয়ারটেকারকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলো।
কিন্তু পুলিশ ঐ চারজনকে নাম জিজ্ঞেস না করে কিভাবে নিশ্চিত হল যে কেয়ারটেকারই আসল খুনি?
উত্তর
১• সল্টু বা বল্টু কেউই কুম্ভের খুনি নয়। কারণ কুম্ভের মৃত্যু বিষয়টি কোনো খুন বা হত্যাকাণ্ড নয়। সে পানির পিপাসায় মরেছে। প্রথমত, কুম্ভের পানির বোতলে বিষ মিশিয়েছিল সল্টু। সেই পানি কুম্ভ খেতেই পারেনি। কাজেই কুম্ভকে খুন করার পরিকল্পনা করলেও তাকে খুন করতে পারেনি সল্টু। সুতরাং কোনোভাবেই সে কুম্ভকে খুন করেনি বা করতে পারেনি। অন্যদিকে, বল্টু গুলি করেছে কুম্ভের পানির বোতলে, কুম্ভকে নয়। কাউকে পানি খেতে না দেওয়ার মানে তাকে খুন করা নয়।কুম্ভ চাইলেই সল্টু বল্টুকে অনুসরন করতে পারতো কিন্তু ব্যাাগভর্তি মালের লোভ সামলাতে পারেনি সে সুতরাং সে পানির পিপাসায় মারা যায়..
২• লোকটি বাতিঘরে চাকরি করতো। ঐ রাতে বাতি না জালানোতে জাহাজ রাস্তা হারিয়ে ডুবে যায় এবং অনেক মানুষ মারা যায়। তাই তাকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।
৩• কেয়ারটেকার ব্যাতিত অন্য তিনজন মহিলা কর্মচারী ছিল.. শুধুমাত্র কেয়ারটেকার পুরুষ কর্মচারী ছিল... সুতরাং উড়োফোনে প্রাপ্ত নাম কালাম হওয়ায় পুলিশ নিশ্চিত হয় যে কেয়ারটেকার আসল খুনি।
গল্পে গল্পে ধাঁধা-১২| উত্তরসহ ৫টি ভীষণ মজার গল্পের ধাঁধা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন