গল্পে গল্পে ধাঁধা-১০|উত্তরসহ ভীষণ মজার তিনটি গল্পধাঁধা|সংগ্রহ ও সম্পাদনা -গিয়াস উদ্দিন - মজার ধাঁধা, ২০২১                                                             > সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্পে গল্পে ধাঁধা-১০|উত্তরসহ ভীষণ মজার তিনটি গল্পধাঁধা|সংগ্রহ ও সম্পাদনা -গিয়াস উদ্দিন

গল্পে গল্পে ধাঁধা-১০|উত্তরসহ ভীষণ মজার তিনটি গল্পধাঁধা|সংগ্রহ ও সম্পাদনা -গিয়াস উদ্দিন| মজার ধাঁধার আসর| মজার মজার সব ধাঁধা



গল্পে গল্পে ধাঁধা-১০|উত্তরসহ ভীষণ মজার তিনটি গল্পধাঁধা|সংগ্রহ ও সম্পাদনা -গিয়াস উদ্দিন

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৪


গল্প ধাঁধা-৫

১•
ধূধূ মরুভূমি প্রচন্ড গরম এর মধ্য দিয়ে দূরপথ পাড়ি দিচ্ছে তিন দুর্ধর্ষ ডাকাত— সল্টু, বল্টু আর কুম্ভ। তিনজনের কাছেই ব্যাগভর্তি ডাকাতির মালামাল, তিনদিন আগে এক অভিযাত্রীদলের সব টাকা-পয়সা লুটে নিয়েছে তারা। শেষ মুহূর্তে একটু ঝামেলায় পড়ে গোলাগুলিও হয়েছে। তাতে আহত না হলেও সল্টু আর বল্টুর পানির বোতল ফেটে গেছে। এখন পানিভরা বোতল আছে শুধু কুম্ভের কাছে।
.
কুম্ভের ওপর সল্টুর প্রচণ্ড রাগ। ঘৃণা করে সে কুম্ভকে। কুম্ভ প্রচণ্ড শক্তিশালী, আর সামনে কোনো পানির সন্ধান পাওয়ার আগে সে নিজের পানির বোতল থেকে এক ফোঁটা পানিও দেবে না কাউকে। ধূর্ত সল্টু এ জন্য পরিকল্পনা আঁটল, খুন করবে সে কুম্ভকে।কিন্তু কীভাবে?
.
সল্টুর কাছে আছে ভয়ংকর বিষ। যে খাবে সে কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রাণ হারাবে। দক্ষ চোর সল্টু, কুম্ভুর চোখ ফাঁকি দিয়ে ঠিকই বিষ মিশিয়ে দিল পানির বোতলে। এখন শুধু অপেক্ষা। কুম্ভ পানি খাবে আর ছটফট করে মারা যাবে— বিষয়টি ভাবতেও ভালো লাগছে সল্টুর।
.
কুম্ভের ওপর বল্টুর ও অনেক রাগ। কিন্তু বল্টুর মাথায় এত বুদ্ধি নেই, সে কেবল হিংস্র! সে ঠিক করল, কুম্ভ যেহেতু কাউকে পানি খেতে দেবে না, কাজেই সেও কুম্ভকে পানি খেতে দেবে না। সে গুলি করে দিল কুম্ভের পানির বোতলে। তার পর পানি ছাড়া কুম্ভকে ফেলে পালাল দুজনেই। কারণ, কুম্ভের মতো স্বার্থপরের সঙ্গে তারা আর একমুহূর্তও থাকতে চায় না। এর পরপরই মারা গেল কুম্ভ।
.
প্রশ্ন হল, কুম্ভের খুনি কে? সল্টু না বল্টু?

২•
এক লোক নির্জন উপকুলে একা বাস করতো সে কখন ও প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হত না
একদিন সন্ধা বেলা হঠাত্ তার প্রচন্ড জ্বর উঠলো এবং বাইরে ও ঝড় বৃষ্টি শুরু হল প্রতিদিনের মত বাতি না জ্বালিয়ে রাতের খাবার না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো
পর দিন সকালে অনেক মানুষের মৃত্যুর দায়ে পুলিশ ঐ লোকটি কে ধরে নিয়ে গেল..
কিন্তু কেন?

৩•
আনিস সাহেব খুন হয়েছেন উনাকে খুন করেছে তার বাড়িতে থাকা চার কর্মচারীর মধ্যে একজন।
পুলিশের কাছে উড়োফোনে খবর আসলো যে আনিস সাহেবের বাড়িতে থাকা চার কর্মচারীর মধ্যে কালাম নামের এক কর্মচারী উনাকে খুন করেছে
আনিস সাহেবের বাড়িতে যে চারজন কাজ করতো তারা হল
১। কেয়ারটেকার
২।ক্লিনার
৩।বাবুর্চী
৪।পি এস
তো যথাসময়ে পুলিশ আসলো চার কর্মচারীকে শুধুমাত্র একটি প্রশ্ন করলো আপনারা চারজন কি আনিস সাহেবের কর্মচারী?
তারা বলল হ্যা.. এই উত্তর শোনার সাথে সাথে কোনো ধরনের তদন্ত বা জিজ্ঞাসাবাদ না করেই কেয়ারটেকারকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলো।
কিন্তু পুলিশ ঐ চারজনকে নাম জিজ্ঞেস না করে কিভাবে নিশ্চিত হল যে কেয়ারটেকারই আসল খুনি?


উত্তর

১• সল্টু বা বল্টু কেউই কুম্ভের খুনি নয়। কারণ কুম্ভের মৃত্যু বিষয়টি কোনো খুন বা হত্যাকাণ্ড নয়। সে পানির পিপাসায় মরেছে। প্রথমত, কুম্ভের পানির বোতলে বিষ মিশিয়েছিল সল্টু। সেই পানি কুম্ভ খেতেই পারেনি। কাজেই কুম্ভকে খুন করার পরিকল্পনা করলেও তাকে খুন করতে পারেনি সল্টু। সুতরাং কোনোভাবেই সে কুম্ভকে খুন করেনি বা করতে পারেনি। অন্যদিকে, বল্টু গুলি করেছে কুম্ভের পানির বোতলে, কুম্ভকে নয়। কাউকে পানি খেতে না দেওয়ার মানে তাকে খুন করা নয়।কুম্ভ চাইলেই সল্টু বল্টুকে অনুসরন করতে পারতো কিন্তু ব্যাাগভর্তি মালের লোভ সামলাতে পারেনি সে সুতরাং সে পানির পিপাসায় মারা যায়..

২• লোকটি বাতিঘরে চাকরি করতো। ঐ রাতে বাতি না জালানোতে জাহাজ রাস্তা হারিয়ে ডুবে যায় এবং অনেক মানুষ মারা যায়। তাই তাকে দায়িত্বে অবহেলার জন্য পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।

৩• কেয়ারটেকার ব্যাতিত অন্য তিনজন মহিলা কর্মচারী ছিল.. শুধুমাত্র কেয়ারটেকার পুরুষ কর্মচারী ছিল... সুতরাং উড়োফোনে প্রাপ্ত নাম কালাম হওয়ায় পুলিশ নিশ্চিত হয় যে কেয়ারটেকার আসল খুনি।

গল্পে গল্পে ধাঁধা-১২| উত্তরসহ ৫টি ভীষণ মজার গল্পের ধাঁধা


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গণিতের মজার ধাঁধা:১ - মজার ধাঁধার আসর| উত্তরসহ মজার মজার সব ধাঁধা ২০২০

মজার মজার অংক ধাঁধা-১|উত্তরসহ|মজার ধাঁধার আসর ১• যদি, কাজ হলো আনন্দ=৫৬৪ সময় হলো টাকা =৫৩৭ সময় হলো আনন্দ = ৩৫৬ হয়, তাহলে, কাজ=? টাকা=? উত্তর কাজ = ৪ টাকা = ৭ ব্যাখ্যা: "হলো" সব লাইনে আছে। আবার পাঁচ সব সংখ্যায় আছে। তাই "হলো" = ৫। ২য় ও ৩য় লাইনে "সময়" কমন। আবার সংখ্যা দুটিতে ৩ কমন। তাই সময় = ৩। কাজ এবং ৪ আছে শুধু ১ম লাইনে। তাই কাজ = ৪। টাকা এবং ৭ আছে শুধু ২য় লাইনে। আর তাই টাকা = ৭। ২•বলুন তো প্রশ্ন চিহ্নিত স্থানে কোন সংখ্যাটি বসবে? ১+৪=৫ ২+৫=১২ ৩+৬=২১ ৪+৭=৩২ ৮+১১= ? উত্তর ৯৬ আজকের ধাঁধা - ২৯শে জুন, ২০২০ আজকের ধাঁধা - ২৭শে জুন, ২০২০ গল্পধাঁধা-১ ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-১ ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৩ গণিতের মজার ধাঁধা-২ ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৪ মজার প্রশ্ন-৪ গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরসহ ১২টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা গণিতের মজার ধাঁধা-৩| উত্তরসহ ১০টি ভীষণ মজার গণিতের ধাঁধা গল্পে গল্পে ধাঁধা-৮| উত্তরসহ ৮টি ভীষণ গল্প ধাঁধা ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৬| উত্তরসহ ১৩টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরস

গল্পে গল্পে ধাঁধা-১: মজার ধাঁধার আসর|উত্তরসহ মজার মজার সব ধাঁধা ২০২০

১• যুদ্ধে হেরে তুমি আর তোমার আটজন সৈন্য শত্রুপক্ষের রাজ্যে বন্দী হলে। রাজা তোমার মুক্তির জন্য একটা শর্ত দিলেন। প্রথমে তোমাদের সবাইকে অজ্ঞান করে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তোমরা চারদিকে চারটা রাস্তা দেখতে পাবে। চারটি রাস্তার যেকোন একটি রাস্তা একটি গ্রামে গিয়ে পৌঁছেছে। সেই গ্রামে যদি তোমরা পৌঁছাতে পারো তাহলে সবাই বেঁচে যাবে। বাকি রাস্তাগুলো গভীর অরণ্যে গিয়ে পৌঁছেছে, যেখানে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। রাস্তা ধরে এগোলে ঠিক আট ঘণ্টা পর গ্রামের দেখা পাওয়া যাবে। না পাওয়া গেলে বুঝতে হবে সেই রাস্তাটা গভীর জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছেছে। তোমার হাতে সময় থাকবে চব্বিশ ঘণ্টা। এই চব্বিশ ঘণ্টার ভেতর যদি তুমি গ্রামটা বের করতে না পারো তাহলে খিদা ও তৃষ্ণায় তোমরা সবাই মারা যাবে। আর গ্রামটা যদি বের করতে পারো তাহলে তোমরা সবাই মুক্ত। রাজার কথা মত অচেতন অবস্থায় সেই ধু ধু মরুভুমিতে তোমাদের রেখে আসা হলো। জ্ঞান ফিরতেই তুমি তোমার হাতে একটি চিঠি দেখতে পেলে। তাতে লেখা আছে, তোমার সৈন্যদের মধ্যে দুজন হলো রাজার অনুচর। তারা যেভাবে পারে গ্রামটি খুঁজে বের করতে তোমাদের জন্য বাঁধার সৃষ্টি করবে। কিন্তু তোমাদেরকে কোন আঘাত তারা কর

গল্পে গল্পে ধাঁধা- ৭| পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা| উত্তরসহ| মজার ধাঁধার আসর

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭|উত্তরসহ| মজার ধাঁধার আসর| মজার মজার সব ধাঁধা গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা গল্পে গল্পে ধাঁধা-৪ গল্প ধাঁধা-৫ ১• এক দেশে ছিল এক রাজা। রাজার ছিল সাত ছেলে। ছেলেদের মধ্যে কাকে যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিবেন তা নিয়ে রাজা খুব চিন্তিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অনেক চিন্তা করে একটা উপায় বের করলেন। সাতে ছেলেকে সাতটা টব আর একটি করে বীজ দিয়ে বললেন, যে এই বীজ থেকে সবচেয়ে পুষ্ট আর সুন্দর গাছ এই টবে ফলাতে পারবে সেই তার রাজত্বের যোগ্য উত্তরসূরি হবে। কিছুদিন পর রাজা সব ছেলেকে ডেকে পাঠালেন। সবাই টব নিয়ে রাজার সামনে হাজির হলো। রাজা দেখলেন, সবার টবেই খুব সুন্দর তরতাজা হৃষ্টপুষ্ট গাছ হয়েছে। শুধু দুই নম্বর ছেলের টবে খুব দূর্বল একটা গাছ কোন রকমে দাঁড়িয়ে আছে। রাজা দুই নম্বর ছেলেকেই তার উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিলেন। কেন? ২• মি: এবং মিসেস চৌধুরী তাদের দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে ছুটি কাটাতে এসেছেন। তারা উঠেছেন একটি হোটেলে। তাদের রুম নম্বর ১০৮। ঐ একই হোটেলে ১০৪ নম্বর রুমে সফিক নামের এক লোক একা উঠেছে। সফিকের সাথে চৌধুরী পরিবারের পরিচয় হল এবং চৌধুরী সাহেবের ছেলেম