গল্পে গল্পে ধাঁধা: মজার ধাঁধার আসর| মজার মজার সব ধাঁধা
গল্পে গল্পে ধাঁধা- ৬
১• তিনজন লোককে দুই মাস ধরে বন্দী করে রাখা হয়েছে একটি বাড়িতে। পুলিশ সেই বাড়ি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করলো। এরা হলো - সফিক আহমেদ। বয়স পঞ্চাশের উপর। মো: আশরাফ। বয়স পঞ্চাশ। আর আলম খান, বয়স ত্রিশ। সফিকের পরনে ছিল মলিন পাজামা পাঞ্জাবি। আশরাফের পরনে ছিল স্যুট টাই। দুইমাসে সেগুলোর হাল বেহাল। আলমের পরনে ছিল টি শার্ট আর প্যান্ট। এগুলোর দশাও খুব করুণ। সবার মুখেই দাড়ি গোফের জঙ্গল। সফিকের গায়ের রঙ ফর্সা। চুলের রঙ অর্ধেক কালো আর অর্ধেক সাদা। আশরাফের গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামলা আর পুরো চুল মেহেদী রঙের। আর আলমের গায়ের রঙ তামাটে এবং পুরো চুলই কালো। এদের রাখা হয়েছিল একই বাড়িতে আলাদা আলাদা ঘরে। পুলিশ সন্দেহ করছে এদের মধ্যেই একজন কিডন্যাপিং এর সাথে জড়িত। সে কে হতে পারে?
২• একটি ঘরে আপনাকে আটকে রাখা হলো। ঐ ঘরে লাল , নীল এবং সবুজ রঙের তিনটি সুইচ আছে। ঘরটির বাইরে আছে একই রঙের তিনটি ভাল্ব যেগুলো এই সুইচগুলোর সাথে সংযুক্ত। ঘরের ভেতর থেকে ভাল্বগুলো দেখার কোন উপায় নেই। আপনাকে ঐ ঘর থেকে একবার বাইরে আনা হবে। এই একবারের সুযোগেই আপনাকে বলতে হবে কোন সুইচটি কোন ভাল্বের। যদি এই সুযোগ আপনি কাজে লাগাতে না পারেন তাহলে চিরতরে ঐ ঘরে আপনাকে বন্দি হয়ে থাকতে হবে। এখন এই একটি সুযোগের সদ্ব্যবহার আপনি কীভাবে করবেন?
৩• বাড়ির নাম জাদুর বাড়ি। ঘুরতে এসেছে টুকটুকি, মৃদুল, বুলবুলি, বাবুই, লিলি, শারমিন, নীতু ও পাপন। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎই তারা একটা ঘরের সামনে এসে দাঁড়ালো। ঘরটির দরজা বড় অদ্ভুত। দরজাটা খোলার কোন সিস্টেম নাই। না আছে হাতল, না আছে নব। ডানে না বামে কোনদিকে ঢুকতে হয় তাও বোঝা যাচ্ছে না। ওরা একে একে সবাই দরজাটা খোলার চেষ্টা করতে লাগলো। প্রথমে চেষ্টা করলো টুকটুকি। একবার দরজাটার ডানে ধাক্কা দিলো আবার বামে। কিন্তু কিছুতেই দরজাটা খুলল না। এরপর চেষ্টা করলো পাপন। কিন্তু সেও ব্যর্থ হলো। পাপনের পর এলো লিলি এবং যথারীতি ব্যর্থ হলো। লিলির পর এগিয়ে এলো মৃদুল। ও দরজাটায় ধাক্কা দেয়ার সাথে সাথে ঘটলো অবাক ঘটনা। ধাক্কা দিতেই মৃদুল দরজার ভেতরে অবলীলায় মিলিয়ে গেল। একটুও বাঁধা পেলো না। ব্যাপারটা লক্ষ্য করে সবাই তো ভীষণ ভয় পেয়ে গেলো। সবাই দরজার কাছ থেকে দূরে সরে এলো। কিন্তু মৃদুলকে ভেতরে রেখে তারা যাবেই বা কী করে? ওরা একটু দূরে থেকে মৃদুলের অপেক্ষা করতে লাগলো। একটু পর মৃদুল একইভাবে আবার ঘরের ভেতর থেকে ঐ দরজা দিয়েই বেরিয়ে এলো। যেনো ও মানুষ না। ওর শরীর বাতাসের তৈরি। সবাই অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইল। কিন্তু ও তো মজা পেয়ে গেছে। ও একবার দরজা ভেদ করে বেরোয় আবার দরজার ভেতরে মিলিয়ে যায়। ওর এই ব্যাপার স্যাপার দেখে সবাই আবার দরজার কাছে এগিয়ে আসে। সবাই মৃদুলের মত ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করতে লাগলো আবার। কিন্তু শারমিন আর মিতু ছাড়া বাকি সবাই এবারও ব্যর্থ হলো। শারমিন আর মিতুও মৃদুলের মত মিলিয়ে যেতে লাগলো দরজার ভেতরে আবার বাতাসের মত দরজা ভেদ করে বেরিয়ে আসতে লাগলো। বাকিরা মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে ওদের খেলা দেখতে লাগলো। হঠাৎ শারমিন বুঝতে পারলো ম্যাজিক দরজার রহস্যটা কী? শারমিন বলল, চলো তো দেখি আমরা সবাই একসাথে হাত ধরে ঢুকতে পারি কি না। শারমিনের বুদ্ধিতে এবার কাজ হলো। সবাই হাতে হাত ধরে অনায়াসে দরজার ভেতরে মিলিয়ে যেতে পারলো এবার। রহস্য ভেদ করতে পেরে এবার সবাই ভীষণ খুশি। এখন বলতে হবে ম্যাজিক দরজার রহস্যটা কী?
১• উত্তর - আশরাফ। দুইমাস পরও পুরো চুলে মেহেদীর রঙ থাকার কথা না।
২• উত্তর - প্রথমে একটি সুইচ অন করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তারপর এটা অফ করে আরেকটা সুইচ অন করে বাইরে আসতে হবে। যে ভাল্বটা জ্বলছে সেটার সুইচ যেটা অন করে আসা হয়েছে সেটা। বাকি দুই ভাল্বে হাত দিয়ে স্পর্শ করে দেখতে হবে। যেটা গরম থাকবে সেটার সুইচ প্রথম যে সুইচটা অন করা হয়েছিল সেটা। আর যে ভাল্বটা ঠাণ্ডা সেটার সুইচ, যে সুইচটা অন করা হয়নি সেটা।
৩• উত্তর - যাদের নামে একই অক্ষর দুবার এসেছে দরজা তাদের গ্রহণ করে না।
গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা
ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরসহ ১২টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা
গল্পে গল্পে ধাঁধা-১২| উত্তরসহ ৫টি ভীষণ মজার গল্পের ধাঁধা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন