গল্পে গল্পে ধাঁধা - ৬ - মজার ধাঁধা, ২০২১                                                             > সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্পে গল্পে ধাঁধা - ৬


গল্পে গল্পে ধাঁধা: মজার ধাঁধার আসর| মজার মজার সব ধাঁধা
গল্পে গল্পে ধাঁধা- ৬

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৪


গল্পে গল্পে ধাঁধা-৫


১• তিনজন লোককে দুই মাস ধরে বন্দী করে রাখা হয়েছে একটি বাড়িতে। পুলিশ সেই বাড়ি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করলো। এরা হলো - সফিক আহমেদ। বয়স পঞ্চাশের উপর। মো: আশরাফ। বয়স পঞ্চাশ। আর আলম খান, বয়স ত্রিশ। সফিকের পরনে ছিল মলিন পাজামা পাঞ্জাবি। আশরাফের পরনে ছিল স্যুট টাই। দুইমাসে সেগুলোর হাল বেহাল। আলমের পরনে ছিল টি শার্ট আর প্যান্ট। এগুলোর দশাও খুব করুণ। সবার মুখেই দাড়ি গোফের জঙ্গল। সফিকের গায়ের রঙ ফর্সা। চুলের রঙ অর্ধেক কালো আর অর্ধেক সাদা। আশরাফের গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামলা আর পুরো চুল মেহেদী রঙের। আর আলমের গায়ের রঙ তামাটে এবং পুরো চুলই কালো। এদের রাখা হয়েছিল একই বাড়িতে আলাদা আলাদা ঘরে। পুলিশ সন্দেহ করছে এদের মধ্যেই একজন কিডন্যাপিং এর সাথে জড়িত। সে কে হতে পারে?


২• একটি ঘরে আপনাকে আটকে রাখা হলো। ঐ ঘরে লাল , নীল এবং সবুজ রঙের তিনটি সুইচ আছে। ঘরটির বাইরে আছে একই রঙের তিনটি ভাল্ব যেগুলো এই সুইচগুলোর সাথে সংযুক্ত। ঘরের ভেতর থেকে ভাল্বগুলো দেখার কোন উপায় নেই। আপনাকে ঐ ঘর থেকে একবার বাইরে আনা হবে। এই একবারের সুযোগেই আপনাকে বলতে হবে কোন সুইচটি কোন ভাল্বের। যদি এই সুযোগ আপনি কাজে লাগাতে না পারেন তাহলে চিরতরে ঐ ঘরে আপনাকে বন্দি হয়ে থাকতে হবে। এখন এই একটি সুযোগের সদ্ব্যবহার আপনি কীভাবে করবেন?


৩• বাড়ির নাম জাদুর বাড়ি। ঘুরতে এসেছে টুকটুকি, মৃদুল, বুলবুলি, বাবুই, লিলি, শারমিন, নীতু ও পাপন। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎই তারা একটা ঘরের সামনে এসে দাঁড়ালো। ঘরটির দরজা বড় অদ্ভুত। দরজাটা খোলার কোন সিস্টেম নাই। না আছে হাতল, না আছে নব। ডানে না বামে কোনদিকে ঢুকতে হয় তাও বোঝা যাচ্ছে না। ওরা একে একে সবাই দরজাটা খোলার চেষ্টা করতে লাগলো। প্রথমে চেষ্টা করলো টুকটুকি। একবার দরজাটার ডানে ধাক্কা দিলো আবার বামে। কিন্তু কিছুতেই দরজাটা খুলল না। এরপর চেষ্টা করলো পাপন। কিন্তু সেও ব্যর্থ হলো। পাপনের পর এলো লিলি এবং যথারীতি ব্যর্থ হলো। লিলির পর এগিয়ে এলো মৃদুল। ও দরজাটায় ধাক্কা দেয়ার সাথে সাথে ঘটলো অবাক ঘটনা। ধাক্কা দিতেই মৃদুল দরজার ভেতরে অবলীলায় মিলিয়ে গেল। একটুও বাঁধা পেলো না। ব্যাপারটা লক্ষ্য করে সবাই তো ভীষণ ভয় পেয়ে গেলো। সবাই দরজার কাছ থেকে দূরে সরে এলো। কিন্তু মৃদুলকে ভেতরে রেখে তারা যাবেই বা কী করে? ওরা একটু দূরে থেকে মৃদুলের অপেক্ষা করতে লাগলো। একটু পর মৃদুল একইভাবে আবার ঘরের ভেতর থেকে ঐ দরজা দিয়েই বেরিয়ে এলো। যেনো ও মানুষ না। ওর শরীর বাতাসের তৈরি। সবাই অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইল। কিন্তু ও তো মজা পেয়ে গেছে। ও একবার দরজা ভেদ করে বেরোয় আবার দরজার ভেতরে মিলিয়ে যায়। ওর এই ব্যাপার স্যাপার দেখে সবাই আবার দরজার কাছে এগিয়ে আসে। সবাই মৃদুলের মত ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করতে লাগলো আবার। কিন্তু শারমিন আর মিতু ছাড়া বাকি সবাই এবারও ব্যর্থ হলো। শারমিন আর মিতুও মৃদুলের মত মিলিয়ে যেতে লাগলো দরজার ভেতরে আবার বাতাসের মত দরজা ভেদ করে বেরিয়ে আসতে লাগলো। বাকিরা মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে ওদের খেলা দেখতে লাগলো। হঠাৎ শারমিন বুঝতে পারলো ম্যাজিক দরজার রহস্যটা কী? শারমিন বলল, চলো তো দেখি আমরা সবাই একসাথে হাত ধরে ঢুকতে পারি কি না। শারমিনের বুদ্ধিতে এবার কাজ হলো। সবাই হাতে হাত ধরে অনায়াসে দরজার ভেতরে মিলিয়ে যেতে পারলো এবার। রহস্য ভেদ করতে পেরে এবার সবাই ভীষণ খুশি। এখন বলতে হবে ম্যাজিক দরজার রহস্যটা কী?



১• উত্তর - আশরাফ। দুইমাস পরও পুরো চুলে মেহেদীর রঙ থাকার কথা না।


২• উত্তর - প্রথমে একটি সুইচ অন করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তারপর এটা অফ করে আরেকটা সুইচ অন করে বাইরে আসতে হবে। যে ভাল্বটা জ্বলছে সেটার সুইচ যেটা অন করে আসা হয়েছে সেটা। বাকি দুই ভাল্বে হাত দিয়ে স্পর্শ করে দেখতে হবে। যেটা গরম থাকবে সেটার সুইচ প্রথম যে সুইচটা অন করা হয়েছিল সেটা। আর যে ভাল্বটা ঠাণ্ডা সেটার সুইচ, যে সুইচটা অন করা হয়নি সেটা।

৩• উত্তর - যাদের নামে একই অক্ষর দুবার এসেছে দরজা তাদের গ্রহণ করে না।


মজার প্রশ্ন-৪



ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৪


মজার প্রশ্ন-৪



গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা


ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরসহ ১২টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা

গল্পে গল্পে ধাঁধা-১২| উত্তরসহ ৫টি ভীষণ মজার গল্পের ধাঁধা






মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গণিতের মজার ধাঁধা:১ - মজার ধাঁধার আসর| উত্তরসহ মজার মজার সব ধাঁধা ২০২০

মজার মজার অংক ধাঁধা-১|উত্তরসহ|মজার ধাঁধার আসর ১• যদি, কাজ হলো আনন্দ=৫৬৪ সময় হলো টাকা =৫৩৭ সময় হলো আনন্দ = ৩৫৬ হয়, তাহলে, কাজ=? টাকা=? উত্তর কাজ = ৪ টাকা = ৭ ব্যাখ্যা: "হলো" সব লাইনে আছে। আবার পাঁচ সব সংখ্যায় আছে। তাই "হলো" = ৫। ২য় ও ৩য় লাইনে "সময়" কমন। আবার সংখ্যা দুটিতে ৩ কমন। তাই সময় = ৩। কাজ এবং ৪ আছে শুধু ১ম লাইনে। তাই কাজ = ৪। টাকা এবং ৭ আছে শুধু ২য় লাইনে। আর তাই টাকা = ৭। ২•বলুন তো প্রশ্ন চিহ্নিত স্থানে কোন সংখ্যাটি বসবে? ১+৪=৫ ২+৫=১২ ৩+৬=২১ ৪+৭=৩২ ৮+১১= ? উত্তর ৯৬ আজকের ধাঁধা - ২৯শে জুন, ২০২০ আজকের ধাঁধা - ২৭শে জুন, ২০২০ গল্পধাঁধা-১ ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-১ ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৩ গণিতের মজার ধাঁধা-২ ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৪ মজার প্রশ্ন-৪ গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরসহ ১২টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা গণিতের মজার ধাঁধা-৩| উত্তরসহ ১০টি ভীষণ মজার গণিতের ধাঁধা গল্পে গল্পে ধাঁধা-৮| উত্তরসহ ৮টি ভীষণ গল্প ধাঁধা ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৬| উত্তরসহ ১৩টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরস

গল্পে গল্পে ধাঁধা-১: মজার ধাঁধার আসর|উত্তরসহ মজার মজার সব ধাঁধা ২০২০

১• যুদ্ধে হেরে তুমি আর তোমার আটজন সৈন্য শত্রুপক্ষের রাজ্যে বন্দী হলে। রাজা তোমার মুক্তির জন্য একটা শর্ত দিলেন। প্রথমে তোমাদের সবাইকে অজ্ঞান করে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তোমরা চারদিকে চারটা রাস্তা দেখতে পাবে। চারটি রাস্তার যেকোন একটি রাস্তা একটি গ্রামে গিয়ে পৌঁছেছে। সেই গ্রামে যদি তোমরা পৌঁছাতে পারো তাহলে সবাই বেঁচে যাবে। বাকি রাস্তাগুলো গভীর অরণ্যে গিয়ে পৌঁছেছে, যেখানে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। রাস্তা ধরে এগোলে ঠিক আট ঘণ্টা পর গ্রামের দেখা পাওয়া যাবে। না পাওয়া গেলে বুঝতে হবে সেই রাস্তাটা গভীর জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছেছে। তোমার হাতে সময় থাকবে চব্বিশ ঘণ্টা। এই চব্বিশ ঘণ্টার ভেতর যদি তুমি গ্রামটা বের করতে না পারো তাহলে খিদা ও তৃষ্ণায় তোমরা সবাই মারা যাবে। আর গ্রামটা যদি বের করতে পারো তাহলে তোমরা সবাই মুক্ত। রাজার কথা মত অচেতন অবস্থায় সেই ধু ধু মরুভুমিতে তোমাদের রেখে আসা হলো। জ্ঞান ফিরতেই তুমি তোমার হাতে একটি চিঠি দেখতে পেলে। তাতে লেখা আছে, তোমার সৈন্যদের মধ্যে দুজন হলো রাজার অনুচর। তারা যেভাবে পারে গ্রামটি খুঁজে বের করতে তোমাদের জন্য বাঁধার সৃষ্টি করবে। কিন্তু তোমাদেরকে কোন আঘাত তারা কর

গল্পে গল্পে ধাঁধা- ৭| পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা| উত্তরসহ| মজার ধাঁধার আসর

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭|উত্তরসহ| মজার ধাঁধার আসর| মজার মজার সব ধাঁধা গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা গল্পে গল্পে ধাঁধা-৪ গল্প ধাঁধা-৫ ১• এক দেশে ছিল এক রাজা। রাজার ছিল সাত ছেলে। ছেলেদের মধ্যে কাকে যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিবেন তা নিয়ে রাজা খুব চিন্তিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অনেক চিন্তা করে একটা উপায় বের করলেন। সাতে ছেলেকে সাতটা টব আর একটি করে বীজ দিয়ে বললেন, যে এই বীজ থেকে সবচেয়ে পুষ্ট আর সুন্দর গাছ এই টবে ফলাতে পারবে সেই তার রাজত্বের যোগ্য উত্তরসূরি হবে। কিছুদিন পর রাজা সব ছেলেকে ডেকে পাঠালেন। সবাই টব নিয়ে রাজার সামনে হাজির হলো। রাজা দেখলেন, সবার টবেই খুব সুন্দর তরতাজা হৃষ্টপুষ্ট গাছ হয়েছে। শুধু দুই নম্বর ছেলের টবে খুব দূর্বল একটা গাছ কোন রকমে দাঁড়িয়ে আছে। রাজা দুই নম্বর ছেলেকেই তার উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিলেন। কেন? ২• মি: এবং মিসেস চৌধুরী তাদের দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে ছুটি কাটাতে এসেছেন। তারা উঠেছেন একটি হোটেলে। তাদের রুম নম্বর ১০৮। ঐ একই হোটেলে ১০৪ নম্বর রুমে সফিক নামের এক লোক একা উঠেছে। সফিকের সাথে চৌধুরী পরিবারের পরিচয় হল এবং চৌধুরী সাহেবের ছেলেম