গল্পে গল্পে ধাঁধা-১: মজার ধাঁধার আসর|উত্তরসহ মজার মজার সব ধাঁধা ২০২০

১•
যুদ্ধে হেরে তুমি আর তোমার আটজন সৈন্য শত্রুপক্ষের রাজ্যে বন্দী হলে। রাজা তোমার মুক্তির জন্য একটা শর্ত দিলেন। প্রথমে তোমাদের সবাইকে অজ্ঞান করে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তোমরা চারদিকে চারটা রাস্তা দেখতে পাবে। চারটি রাস্তার যেকোন একটি রাস্তা একটি গ্রামে গিয়ে পৌঁছেছে। সেই গ্রামে যদি তোমরা পৌঁছাতে পারো তাহলে সবাই বেঁচে যাবে। বাকি রাস্তাগুলো গভীর অরণ্যে গিয়ে পৌঁছেছে, যেখানে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। রাস্তা ধরে এগোলে ঠিক আট ঘণ্টা পর গ্রামের দেখা পাওয়া যাবে। না পাওয়া গেলে বুঝতে হবে সেই রাস্তাটা গভীর জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছেছে। তোমার হাতে সময় থাকবে চব্বিশ ঘণ্টা। এই চব্বিশ ঘণ্টার ভেতর যদি তুমি গ্রামটা বের করতে না পারো তাহলে খিদা ও তৃষ্ণায় তোমরা সবাই মারা যাবে। আর গ্রামটা যদি বের করতে পারো তাহলে তোমরা সবাই মুক্ত।

রাজার কথা মত অচেতন অবস্থায় সেই ধু ধু মরুভুমিতে তোমাদের রেখে আসা হলো। জ্ঞান ফিরতেই তুমি তোমার হাতে একটি চিঠি দেখতে পেলে। তাতে লেখা আছে, তোমার সৈন্যদের মধ্যে দুজন হলো রাজার অনুচর। তারা যেভাবে পারে গ্রামটি খুঁজে বের করতে তোমাদের জন্য বাঁধার সৃষ্টি করবে। কিন্তু তোমাদেরকে কোন আঘাত তারা করবে না। পড়া শেষ হলে তুমি চিরকুটটি ছিঁড়ে ফেলে দিলে। তুমি জানো না যে সেই দুজন অনুচর কারা।

এখন তুমি গ্রামে পৌঁছানোর রাস্তাটা চব্বিশ ঘণ্টার ভেতরে কীভাবে খুঁজে বের করবে?

উত্তর

চারটি দল হবে। একদলে শুধু তুমি। দুই দলে তিন জন করে এবং একদলে দুইজন থাকবে। চার রাস্তায় চার দল যাবে। যদি তোমার রাস্তায় গ্রাম না থাকে তাহলে সিদ্ধান্ত হবে দলগুলোর ভেতরে বিদ্যমান দ্বিমতের ভিত্তিতে। যদি বড় দুইটি দলে দ্বিমত থাকে তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে। যদি একটি বড় এবং একটি ছোট দলে মানে দুইজনের দলে দ্বিমত হয় তাহলে যে দলে দ্বিমত নেই এবং যে বড় দলটিতে দ্বিমত আছে সেই দলের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে। যদি শুধু একটি দলে দ্বিমত থাকে তাহলে যে দলগুলোতে কোন দ্বিমত নেই সেই দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে। আর যদি কোন দলেই দ্বিমত না থাকে তাহলে বড় দুই দলের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে।

২•
ঘন জঙ্গলের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে একটি জড়াজীর্ণ দুই রুমের ভাঙ্গা পোড়া বাড়ি। সবাই বলে রাতে সাদা শাড়ি পড়ে কেউ ঘুরে বেড়ায় বাড়িটিতে আর গুমনাম সিনেমার মতো, "গুমনাম হে কই" গানটি গেয়ে বেড়ায়। ভূতের ভয়ে কেউ ঐ বাড়িটিতে যায় না।

রিমন আর জনি দুই বন্ধু। একদিন রিমন জনিকে বললো, "চল, দেখে আসি ব্যাপারটা কী।" জনিও রহস্যের গন্ধ পেয়ে রাজী হয়ে গেলো। তারা দুজন সত্যি সত্যি ঐ বাড়িতে গিয়ে হাজির হলো। গা ছমছম করা পরিবেশ। হঠাৎ একটি মচমচ শব্দে দুজন চমকে উঠলো। তেমন কিছু না। দুটি কবুতর উড়ে গেলো। রিমন সামনে চলছে। পেছন পেছন জনি। হঠাৎ রিমন ফিরে দাঁড়ালো। জনির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বললো, "এক মিনিটের ভেতর তোর পিঠে কেউ সজোরে চাপড় মারবে।" জনি তার কথা হেসে উড়িয়ে দিলো। রিমন বললো, "তুই এক থেকে ত্রিশ পর্যন্ত গুনতে থাক। ঠিক ত্রিশ গুনার সাথে সাথে কেউ তোকে পেছন থেকে চাপড় মারবে।"

জনি তাই করলো এবং ত্রিশ গুনার সাথে সাথে সত্যি সত্যি কেউ তাকে পেছন থেকে চাপড় মারলো। আচমকা এই ঘটনায় জনি ভীষণ চমকে গেলো।

ব্যাপারটা তাহলে কী? রিমন তো জনির মুখোমুখি দাঁড়ানো, তাহলে আচমকা জনির পিঠে পেছন থেকে চাপড়টা মারলো কে?

উত্তর
অতি কৌতুহলের কারনে জনি ত্রিশ গুনার সাথে সাথে পেছন ফিরে তাকায় সত্যিই কেউ আছে কিনা দেখার জন্য, আর ঠিক তখনই রিমন তার পিঠে চাটি মারে। ঘটনার আকস্মিকতায় জনি চমকে ওঠে।

আজকের ধাঁধা - ২৯শে জুন, ২০২০

আজকের ধাঁধা - ২৭শে জুন, ২০২০

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা

ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরসহ ১২টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা

গণিতের মজার ধাঁধা-৩| উত্তরসহ ১০টি ভীষণ মজার গণিতের ধাঁধা

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৮| উত্তরসহ ৮টি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা