গল্পে গল্পে ধাঁধা-১৩|উত্তরসহ ভীষণ মজার সাতটি গল্পের ধাঁধা|রচনা, সংগ্রহ ও সম্পাদনা-গিয়াস উদ্দিন| মজার ধাঁধার আসর| মজার মজার সব প্রশ্ন ২০২০|Interesting and Tricky Bengali Riddles 2020
১•
আমার ভাগ্না ভাগ্নী বায়না ধরলো তাদেরকে একটি গল্প শুনানোর জন্য। তখন আমি তাদের একটি গল্প শুনাতে লাগলাম
গল্পঃ
আমি তখন ছোট.. ক্লাস এইট কি নাইনে পড়ি। তখন খুব ডানপিটে ছিলাম। একদিন বন্ধুরা মিলে বল খেলছিলাম হঠাৎ বলটা উড়ে গিয়ে মাতব্বরের বাড়িতে পড়লো। তখন আমি বলটা আনতে গেলাম কিন্তু ঐ বাড়ির দারোয়ানটা ছিল ভীষন বজ্জাত। সে এসে বল নিয়ে ঘরের ভিতর চলে গেল এবং কিছুক্ষন পর বলটাকে কেটে দুটুকরো করে এনে আমার হাতে ধরিয়ে দিলো এবং ক্রুর হাসি হাসলো।
তখন আমরা বন্ধুরা মিলে ব্যাটাকে কিভাবে শায়েস্তা করা যায় তা চিন্তা করতে থাকলাম।
একদিন কনকনে শীতের রাতে কালো জ্যাকেট পড়ে মাতব্বরের বাগানে ঢুকলাম তছনছ করার জন্য কিন্তু বাগানে ঢুকে গাছ থেকে কাঁচা পাঁকা আম পেড়ে পকেটে ভরতে লাগলাম। হঠাৎ দারোয়ান আমাদের পেছনে জমদুতের মত হাজির। কিন্তু পরক্ষনে আমাদের কালো জ্যাকেট দেখে ভূত মনে করে, ভূত ভূত বলে দৌড়ে পালিয়ে গেল এবং আমরাও এই সুযোগে পালিয়ে আসলাম।
গল্প শেষ হবার পর ভাগ্না ভাগ্নী বলল, মামা আবার গুল মারলেন?
কীভাবে তারা বুঝলো আমি গুল মারছি?
২•
শাশুরী বউয়ের ঝগড়াঝাঁটির এক পর্যায়ে ছেলে বাসায় আসলো এবং তাদের ঝগড়া থামালো। তখন ছেলেটিকে তার স্ত্রী জিজ্ঞেস করলো, তুমি আমাকে বেশী ভালবাসো না তোমার মাকে বেশী ভালবাসো? আচ্ছা ভালবাসা বাদ দাও, ধরো তুমি আমি আর তোমার মা একটি নৌকায় নদী পার হচ্ছি। হঠাৎ নৌকাটা ডুবে গেলো তখন কাকে তুমি আগে বাঁচাবে? ছেলেটি অবশ্য খুব সুন্দর উত্তর দিয়েছিল যাতে তার মা এবং স্ত্রী উভয়ই সন্তুষ্ট হয়েছিল এবং তার উভয়ের প্রতি যে ভালোবাসা আছে তা প্রতিফলিত হয়েছিল।
বলুন তো উত্তরটা কী দিয়েছিল ছেলেটি?
৩•
এক জন লোক বাজারে গেলো একটি ছাগল আর এক বোঝা পান কিনতে এবং তার সাথে একটি কুকুর ও ছিল। এখন বাড়ি ফিরার পথে একটি নদী পড়লো। নদীর ঘাটে একটি ছোট নৌকাও পেল। কিন্তু লোকটি কিছু সমস্যায় পড়ে গেল। নৌকা এত ছোট যে একটি একটি করে পার করতে হবে। পান পার করলে কুকুর ছাগল কে কামড়াবে। আবার কুকুরকে পার করলে ছাগল পান খেয়ে ফেলবে। আবার ছাগল আগে পার করলে পরে যখন কুকুর বা পান যে কোনো একটি পার করবে তখন হয় কুকুর ছাগলকে কামড়াবে বা ছাগলে পান খেয়ে ফেলবে। এখন প্রশ্ন হল লোকটি ওগুলো কিভাবে নদী পার করবে?
৪•
সৌরভ নামের এক লোক ছিল তার খুব সুন্দর একটি বৌ ছিল নাম অদিতি।
লোকটা ভালো নাকি মন্দ
সে আলোচনা এখানে করা হবে না।
তো একদিন লোকটা তার
বৌকে ঝুলিয়ে মেরে ফেললো। এখন সে যে তার বৌকে মেরেছে তার সাক্ষীর
কোনোই অভাব ছিল না। অনেক লোক সে দৃশ্য আগ্রহ নিয়ে
পর্যবেক্ষন করেছে।
কিন্তু কেউ কিছুই
বলেনি।
এমনকি তার বিরুদ্ধে আদালতে কোনো মামলা হয়নি। কিন্তু
কেন? যে লোক তার বৌ-
কে অনেক লোকের
সামনে হত্যা করে মেরে ফেলল
তার কেন
কোনো সাজা হবে না?
৫•
বার্ষিক পরিক্ষা শেষ। স্কুল ছুটি। এসময় বাগান
করার জন্য উপযুক্তও
বটে। এক বাড়ির দুই
বোন ঠিক করলো,
ছুটির সময়টাতে বাগান
করা যাক।তাই
দুজনেই
লেগে গেল বাগান
তৈরির কাজে।
অনেকক্ষণ ধরে কাজ
করা শেষে তাদের কাজ
থামলো। কাজ
শেষে দেখা গেল,
একজনের চেহারা, চুল,
খুবই
নোংরা হয়ে গিয়েছে।
অথচ অন্যজনের
তেমন কিছুই হয়নি।
দেখে মনেই হয়না যে ও
বাগানে কাজ করছিল।
কিন্তু মজার ব্যাপার
হলো, যে বোনটির
চেহারা,
চুলে নোংরা লেগেছিল,
সে কিছুই করলো না।
অন্যদিকে যার
গায়ে নোংরা একদমই
লাগেনি, সেই
বরং দৌড়ে গেল নিজের
হাত-মুখ আর চুল ধুতে।
কেন এমনটি হলো,
বলতে পারবে?
৬•
সুজন বিনা কারনে রাজনকে খুন করে ফেলল। এখন গ্রাম প্রধানের উপর বিচারের দায়িত্ব পড়লো উনি বিচার করবেন এবং উনি যে রায় দিবেন তা চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে। তো বিচারের
জন্য সুজনকে গ্রাম প্রধানের
কাছে আনা হল। গ্রাম প্রধান তাকে মৃত্যুদন্ড দিলেন এবং দয়া দেখিয়ে সুজনের কাছে জানতে চাইলেন
কীভাবে সে মরেতে চায়?
সুজন গ্রামপ্রধানকে তা জানালো
এবং তা শুনে গ্রামপ্রধান তাকে ছেড়ে দিলেন। এখন বলতে হবে সুজন গ্রামপ্রধানকে কী জানালো?
৭•
আসাদ সাহেব খুন হয়েছেন। পুলিশ ইনস্পেক্টর সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ১ম সন্দেহভাজন
(ভাগিনা) : আমি তখন রাত দশটার সংবাদ দেখছিলাম। সংবাদ
মাত্র শুরু হয়েছিল। শিরোণামগুলো দেখাচ্ছিল। চতুর্থ শিরোণামে যখন ক্রিকেটের কথা বলছিল তখন হঠাৎ আমি একটা চিৎকার শুনতে পাই। উঠে গিয়ে দেখি মামা উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে।
২য় সন্দেহভাজন
(ভাতিজা) : আমি তখন গল্পের বই পড়ছিলাম। হুমায়ূন আহমেদের আজ আমি কোথাও যাবো না। ১২ নম্বর শেষ করে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে যখন ১৩ নম্বর পৃষ্ঠা পড়া শুরু করতে যাচ্ছিলাম, তখনই চিৎকার শুনতে পাই। উঠে গিয়ে দেখি চাচা কাত হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে। আর আমার ফুফাতো ভাই তার পাশে হতভম্ভ হয়ে বসে আছে।
৩য় সন্দেহভাজন
(লজিং মাস্টার) : আমি তখন নেট ব্রাউজ করছিলাম। অ্যাডবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ারের নতুন ভার্সনটা আপগ্রেড করা ছিল না বলে ইউটিউব
ভিডিওগুলো চালাতে পারছিলাম না। তাই গুগলে সার্চ দিয়ে সফটপিডিয়া থেকে ফ্ল্যাশপ্লেয়ারের লেটেস্ট ভার্সনটা যখন সবেমাত্র ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার দিয়ে ডাউনলোড
করতে যাচ্ছিলাম, তখনই চিৎকার আমার
কানে আসে। ছুটে গিয়ে দেখি আংকেল সোজা হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে। তার ভাগিনা তার
পাশে বসে আছে আর ভাতিজা তার পাশে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইনস্পেক্টর তার নোটখাতায় এই তিন সন্দেহভাজনের একজনের নামের পাশে স্টার চিহ্ন দিলেন - অর্থাৎ একে আরো বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। বলতে পারেন কোন ব্যক্তির নামের
পাশে তিনি স্টার চিহ্ন দিয়েছিলেন এবং কেন দিয়েছেন?
উত্তর
১• শীতের সময় কাঁচা পাকা আম ধরে না।
২• ছেলেটির উত্তর ছিল আমি পৃথিবীতে দুইজন নারীকে সব চেয়ে বেশী ভালোবাসি। একজন আমার মা আর একজন হলে তুমি। নৌকা যদি ডুবে যায় তাহলে আমি আগে আমার মাকে বাঁচাবো। মাকে বাঁচিয়ে যদি তোমাকে না বাঁচাতে পারি, তাহলে তোমার সাথে নদীতে ডুবে মরে যাব।
৩• প্রথমে ছাগল পার করে ফিরে আসবে। এরপর পান পার করে ছাগলকে ফেরত নিয়ে আসবে। এবার কুকুরকে পার করে ফিরে আসবে এবং সব শেষে ছাগলকে পার করবে।
৪• কারণ সে ছিল জল্লাদ এবং তার বউ ছিল ফাঁসির আসামী।
৫• সে মনে করছিল বোনের মতো তারও চেহারা, চুল, খুবই নোংরা হয়ে গিয়েছে, তাই।
৬• আমি স্বাভাবিকভাবে মরতে চাই।
৭• ভাতিজা। কারণ সে মিথ্যে বলছে। বারো নম্বর পৃষ্ঠা এবং তেরো নম্বর পৃষ্ঠা পাশাপাশি থাকে। উল্টে পড়তে হয় না।
১•
আমার ভাগ্না ভাগ্নী বায়না ধরলো তাদেরকে একটি গল্প শুনানোর জন্য। তখন আমি তাদের একটি গল্প শুনাতে লাগলাম
গল্পঃ
আমি তখন ছোট.. ক্লাস এইট কি নাইনে পড়ি। তখন খুব ডানপিটে ছিলাম। একদিন বন্ধুরা মিলে বল খেলছিলাম হঠাৎ বলটা উড়ে গিয়ে মাতব্বরের বাড়িতে পড়লো। তখন আমি বলটা আনতে গেলাম কিন্তু ঐ বাড়ির দারোয়ানটা ছিল ভীষন বজ্জাত। সে এসে বল নিয়ে ঘরের ভিতর চলে গেল এবং কিছুক্ষন পর বলটাকে কেটে দুটুকরো করে এনে আমার হাতে ধরিয়ে দিলো এবং ক্রুর হাসি হাসলো।
তখন আমরা বন্ধুরা মিলে ব্যাটাকে কিভাবে শায়েস্তা করা যায় তা চিন্তা করতে থাকলাম।
একদিন কনকনে শীতের রাতে কালো জ্যাকেট পড়ে মাতব্বরের বাগানে ঢুকলাম তছনছ করার জন্য কিন্তু বাগানে ঢুকে গাছ থেকে কাঁচা পাঁকা আম পেড়ে পকেটে ভরতে লাগলাম। হঠাৎ দারোয়ান আমাদের পেছনে জমদুতের মত হাজির। কিন্তু পরক্ষনে আমাদের কালো জ্যাকেট দেখে ভূত মনে করে, ভূত ভূত বলে দৌড়ে পালিয়ে গেল এবং আমরাও এই সুযোগে পালিয়ে আসলাম।
গল্প শেষ হবার পর ভাগ্না ভাগ্নী বলল, মামা আবার গুল মারলেন?
কীভাবে তারা বুঝলো আমি গুল মারছি?
২•
শাশুরী বউয়ের ঝগড়াঝাঁটির এক পর্যায়ে ছেলে বাসায় আসলো এবং তাদের ঝগড়া থামালো। তখন ছেলেটিকে তার স্ত্রী জিজ্ঞেস করলো, তুমি আমাকে বেশী ভালবাসো না তোমার মাকে বেশী ভালবাসো? আচ্ছা ভালবাসা বাদ দাও, ধরো তুমি আমি আর তোমার মা একটি নৌকায় নদী পার হচ্ছি। হঠাৎ নৌকাটা ডুবে গেলো তখন কাকে তুমি আগে বাঁচাবে? ছেলেটি অবশ্য খুব সুন্দর উত্তর দিয়েছিল যাতে তার মা এবং স্ত্রী উভয়ই সন্তুষ্ট হয়েছিল এবং তার উভয়ের প্রতি যে ভালোবাসা আছে তা প্রতিফলিত হয়েছিল।
বলুন তো উত্তরটা কী দিয়েছিল ছেলেটি?
৩•
এক জন লোক বাজারে গেলো একটি ছাগল আর এক বোঝা পান কিনতে এবং তার সাথে একটি কুকুর ও ছিল। এখন বাড়ি ফিরার পথে একটি নদী পড়লো। নদীর ঘাটে একটি ছোট নৌকাও পেল। কিন্তু লোকটি কিছু সমস্যায় পড়ে গেল। নৌকা এত ছোট যে একটি একটি করে পার করতে হবে। পান পার করলে কুকুর ছাগল কে কামড়াবে। আবার কুকুরকে পার করলে ছাগল পান খেয়ে ফেলবে। আবার ছাগল আগে পার করলে পরে যখন কুকুর বা পান যে কোনো একটি পার করবে তখন হয় কুকুর ছাগলকে কামড়াবে বা ছাগলে পান খেয়ে ফেলবে। এখন প্রশ্ন হল লোকটি ওগুলো কিভাবে নদী পার করবে?
৪•
সৌরভ নামের এক লোক ছিল তার খুব সুন্দর একটি বৌ ছিল নাম অদিতি।
লোকটা ভালো নাকি মন্দ
সে আলোচনা এখানে করা হবে না।
তো একদিন লোকটা তার
বৌকে ঝুলিয়ে মেরে ফেললো। এখন সে যে তার বৌকে মেরেছে তার সাক্ষীর
কোনোই অভাব ছিল না। অনেক লোক সে দৃশ্য আগ্রহ নিয়ে
পর্যবেক্ষন করেছে।
কিন্তু কেউ কিছুই
বলেনি।
এমনকি তার বিরুদ্ধে আদালতে কোনো মামলা হয়নি। কিন্তু
কেন? যে লোক তার বৌ-
কে অনেক লোকের
সামনে হত্যা করে মেরে ফেলল
তার কেন
কোনো সাজা হবে না?
৫•
বার্ষিক পরিক্ষা শেষ। স্কুল ছুটি। এসময় বাগান
করার জন্য উপযুক্তও
বটে। এক বাড়ির দুই
বোন ঠিক করলো,
ছুটির সময়টাতে বাগান
করা যাক।তাই
দুজনেই
লেগে গেল বাগান
তৈরির কাজে।
অনেকক্ষণ ধরে কাজ
করা শেষে তাদের কাজ
থামলো। কাজ
শেষে দেখা গেল,
একজনের চেহারা, চুল,
খুবই
নোংরা হয়ে গিয়েছে।
অথচ অন্যজনের
তেমন কিছুই হয়নি।
দেখে মনেই হয়না যে ও
বাগানে কাজ করছিল।
কিন্তু মজার ব্যাপার
হলো, যে বোনটির
চেহারা,
চুলে নোংরা লেগেছিল,
সে কিছুই করলো না।
অন্যদিকে যার
গায়ে নোংরা একদমই
লাগেনি, সেই
বরং দৌড়ে গেল নিজের
হাত-মুখ আর চুল ধুতে।
কেন এমনটি হলো,
বলতে পারবে?
৬•
সুজন বিনা কারনে রাজনকে খুন করে ফেলল। এখন গ্রাম প্রধানের উপর বিচারের দায়িত্ব পড়লো উনি বিচার করবেন এবং উনি যে রায় দিবেন তা চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে। তো বিচারের
জন্য সুজনকে গ্রাম প্রধানের
কাছে আনা হল। গ্রাম প্রধান তাকে মৃত্যুদন্ড দিলেন এবং দয়া দেখিয়ে সুজনের কাছে জানতে চাইলেন
কীভাবে সে মরেতে চায়?
সুজন গ্রামপ্রধানকে তা জানালো
এবং তা শুনে গ্রামপ্রধান তাকে ছেড়ে দিলেন। এখন বলতে হবে সুজন গ্রামপ্রধানকে কী জানালো?
৭•
আসাদ সাহেব খুন হয়েছেন। পুলিশ ইনস্পেক্টর সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ১ম সন্দেহভাজন
(ভাগিনা) : আমি তখন রাত দশটার সংবাদ দেখছিলাম। সংবাদ
মাত্র শুরু হয়েছিল। শিরোণামগুলো দেখাচ্ছিল। চতুর্থ শিরোণামে যখন ক্রিকেটের কথা বলছিল তখন হঠাৎ আমি একটা চিৎকার শুনতে পাই। উঠে গিয়ে দেখি মামা উপুড় হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে।
২য় সন্দেহভাজন
(ভাতিজা) : আমি তখন গল্পের বই পড়ছিলাম। হুমায়ূন আহমেদের আজ আমি কোথাও যাবো না। ১২ নম্বর শেষ করে পৃষ্ঠা উল্টিয়ে যখন ১৩ নম্বর পৃষ্ঠা পড়া শুরু করতে যাচ্ছিলাম, তখনই চিৎকার শুনতে পাই। উঠে গিয়ে দেখি চাচা কাত হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে। আর আমার ফুফাতো ভাই তার পাশে হতভম্ভ হয়ে বসে আছে।
৩য় সন্দেহভাজন
(লজিং মাস্টার) : আমি তখন নেট ব্রাউজ করছিলাম। অ্যাডবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ারের নতুন ভার্সনটা আপগ্রেড করা ছিল না বলে ইউটিউব
ভিডিওগুলো চালাতে পারছিলাম না। তাই গুগলে সার্চ দিয়ে সফটপিডিয়া থেকে ফ্ল্যাশপ্লেয়ারের লেটেস্ট ভার্সনটা যখন সবেমাত্র ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার দিয়ে ডাউনলোড
করতে যাচ্ছিলাম, তখনই চিৎকার আমার
কানে আসে। ছুটে গিয়ে দেখি আংকেল সোজা হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে। তার ভাগিনা তার
পাশে বসে আছে আর ভাতিজা তার পাশে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইনস্পেক্টর তার নোটখাতায় এই তিন সন্দেহভাজনের একজনের নামের পাশে স্টার চিহ্ন দিলেন - অর্থাৎ একে আরো বেশি জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। বলতে পারেন কোন ব্যক্তির নামের
পাশে তিনি স্টার চিহ্ন দিয়েছিলেন এবং কেন দিয়েছেন?
উত্তর
১• শীতের সময় কাঁচা পাকা আম ধরে না।
২• ছেলেটির উত্তর ছিল আমি পৃথিবীতে দুইজন নারীকে সব চেয়ে বেশী ভালোবাসি। একজন আমার মা আর একজন হলে তুমি। নৌকা যদি ডুবে যায় তাহলে আমি আগে আমার মাকে বাঁচাবো। মাকে বাঁচিয়ে যদি তোমাকে না বাঁচাতে পারি, তাহলে তোমার সাথে নদীতে ডুবে মরে যাব।
৩• প্রথমে ছাগল পার করে ফিরে আসবে। এরপর পান পার করে ছাগলকে ফেরত নিয়ে আসবে। এবার কুকুরকে পার করে ফিরে আসবে এবং সব শেষে ছাগলকে পার করবে।
৪• কারণ সে ছিল জল্লাদ এবং তার বউ ছিল ফাঁসির আসামী।
৫• সে মনে করছিল বোনের মতো তারও চেহারা, চুল, খুবই নোংরা হয়ে গিয়েছে, তাই।
৬• আমি স্বাভাবিকভাবে মরতে চাই।
৭• ভাতিজা। কারণ সে মিথ্যে বলছে। বারো নম্বর পৃষ্ঠা এবং তেরো নম্বর পৃষ্ঠা পাশাপাশি থাকে। উল্টে পড়তে হয় না।
গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা
ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরসহ ১২টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা
গল্পে গল্পে ধাঁধা-৮| উত্তরসহ ৮টি ভীষণ গল্প ধাঁধা
ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৬| উত্তরসহ ১৩টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা
গল্পে গল্পে ধাঁধা-৯| উত্তরসহ ৮টি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা
মজার প্রশ্ন- ৬| উত্তরসহ ১০টি ভীষণ মজার প্রশ্ন
গল্পে গল্পে ধাঁধা-১২| উত্তরসহ ৫টি ভীষণ মজার গল্পের ধাঁধা
গল্পে গল্পে ধাঁধা-১| উত্তরসহ ভীষণ মজার কিছু গল্পের ধাঁধা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন