গল্পে গল্পে ধাঁধা-৯| উত্তরসহ ভীষণ মজার পাঁচটি গল্প ধাঁধা - মজার ধাঁধা, ২০২১                                                             > সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৯| উত্তরসহ ভীষণ মজার পাঁচটি গল্প ধাঁধা

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৯|উত্তরসহ ভীষণ মজার পাঁচটি গল্প ধাঁধা| মজার ধাঁধার আসর| মজার মজার সব ধাঁধা



গল্পে গল্পে ধাঁধা-৯|উত্তরসহ ভীষণ মজার পাঁচটি গল্প ধাঁধা|

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৪


গল্প ধাঁধা-৫

১•
এক রাতে দুই বন্ধু বসে আছে একসাথে। এক বন্ধু বই পড়ছে আরেক বন্ধু টিভি দেখছে। হঠাৎ লাইট চলে গেলো, সব একেবারে ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে গেলো। যে বন্ধুটি টিভি দেখছিল সে উঠে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। কিন্তু যে বই পড়ছিলো সে তখনো বইই পড়ে যাচ্ছিলো। সে কোন ধরণের আলো জ্বালায়নি। বন্ধুটিও কোন আলো জ্বালায়নি। ঘর ঘুটঘুটে অন্ধকারই আছে। এটা কীভাবে সম্ভব?

২•
একজন বিজ্ঞানী দুটি ট্যাবলেট আবিষ্কার করলেন। একটির রং লাল আর একটি নীল। এই দুটি ট্যাবলেট একসাথে খেলে অমরত্ব লাভ করা যাবে। কিন্তু একটি লাল আর একটি নীলই খেতে হবে। যে কোন একটি বেশি খেলে ফল উলটো হবে। দুটি লাল আর দুটি নীল ট্যাবলেট পকেটে নিয়ে তিনি তার ল্যাব থেকে ঘরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। মাঝপথে একদল এলিয়েন তার উপর হামলা করলো এবং তাকে নিয়ে ফেললো ঘোর অন্ধকার মৃত্যু উপত্যকায়, মৃত্যু যেখানে অনিবার্য। তার বাঁচার এখন একমাত্র উপায় হল ওই ট্যাবলেটগুলি। কিন্তু সমস্যা হল তার কাছে কোন আলো নেই। আলো জ্বালানোর কোন উপায়ও নেই। দুটি এক রঙা ট্যাবলেট খেয়ে ফেললে ফল উলটো হবে। এখন বলতে হবে কীভাবে তিনি সফলভাবে দুটি দুই রঙের ট্যাবলেট খেতে পারবেন?

৩•
গ্রামটির নাম বিষনগর। এই গ্রামে বিষধর সাপের আনাগুনা বেশি। কিন্তু গ্রামে সেই বিষ ক্ষয়ের উপায়ও আছে। সাপের বিষ যতটা বিষাক্ত তার চেয়ে আরেকটু শক্তিশালী বিষ খেলেই বিষক্ষয় হয়ে যায়। তো গ্রামের প্রধান ঠিক করলেন সবচেয়ে শক্তিশালী বিষ উদ্ভাবন করবেন যাতে যত শক্তিশালী বিষই হোক না কেন তার কোন ক্ষতি করতে না পারে। তাই তিনি গ্রামের সবচেয়ে প্রতিভাবান দুজন কবিরাজ কবিরুল ও মকবুলের মধ্যে প্রতিযোগিতা ডাকলেন। দুজনকেই সবচেয়ে শক্তিশালী বিষ বানাতে বললেন। বিষ বানিয়ে তারা একে অন্যের বিষ পান করবে এবং পরে নিজের বানানো বিষ পান করবে। যে বাঁচবে তার বিষই হবে সবচেয়ে শক্তিশালী বিষ। কবিরুল জানত মকবুলের বিষই হবে শক্তিশালী আর তার নিজের মৃত্যু অনিবার্য। তাই সে একটি ফন্দী আটলো। ওদিকে মকবুল ও জানতো কবিরুল সব জানে এবং সে বাঁচার জন্য নিশ্চয়ই কোন ফন্দী করবে।তাই সেও একটি বুদ্ধি বের করলো। শেষ পর্যন্ত মকবুলই বাঁচলো আর কবিরুল মারা গেলো। আর প্রধান নিজেও জানল না তার ইচ্ছাও অপূর্ণ রয়ে গেলো। বলতে হবে তারা কী বুদ্ধি করেছিলো?


৪•
রিমি আর শিরিন দুই বান্ধবি। ওরা দুজনে মিলে অন্য বান্ধবিদের সাথে একটি মজার খেলা খেলছে। রিমি গিয়ে বাইরে দাঁড়াচ্ছে আর ভেতরে সবাই মিলে একটি শব্দ ভাবছে। রিমি প্রতিবারই ভেতরে এসে সঠিক শব্দটি বলে ফেলছে। খেলাটি এ রকম। রিমি ভেতরে আসলে তাকে শিরিন এভাবে প্রশ্ন করছে আর রিমি তার উত্তর হ্যাঁ অথবা না দিয়ে দিচ্ছে -
১- আমরা যা ভেবেছি তা কি উট?
না।
সূর্য?
না।
বই?
না
ফুলকপি?
না
কোকিল?
না।
সাবিনা ইয়াসমিন?
হ্যাঁ
২- বৃষ্টি?
না।
শিরিন?
না।
কান?
না।
কলম?
না।
গরু?
হ্যাঁ।
৩- তারা?
না।
চুল?
না
আকাশ?
হ্যাঁ।
কিভাবে প্রতিবার ই রিমি সঠিক উত্তরটি ধরতে পারছে?

৫•
একটি লোক একটি দশ তলা বিল্ডিং থেকে পড়ে মারা গেছে। পুলিশ এসেছে ঘটনা তদন্ত করতে। লাশ উপুড় হয়ে পড়ে আছে। লোকটির এক পায়ে চটি পরা। অন্য পা খালি। জানা গেলো লোকটা নয় তলার ফ্লাটে একাই থাকত। কিছুটা অস্থির প্রকৃতির ছিল। কারো সাথে মিশতো না, কথা বলতো না। বেশি দিন হয় নি এই ফ্লাটে এসেছে। ইন্সপেক্টর সাহেব তার সহকারীদের নিয়ে নয় তলায় উঠলেন। লোকটির ফ্লাটের দরজা ভেতর থেকে লাগানো।দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকা হল।ঘরে সব কিছু এলোমেলো। শোবার ঘরের মেঝেতে অনেক গুলো কাগজ মুঠো করে ফেলা। মনে হয় কিছু লেখার চেষ্টা করেছিল। একটা কাগজ ভাঁজ করে টেবিল এর উপর রাখা, যাতে লেখা "আমার মৃত্যুর জন্য আমি ই দায়ী।" অনেক গুলো সিগারেট আধ খাওয়া ময়লার ঝুড়িতে ফেলা। বোঝাই যাচ্ছে লোকটা মানসিকভাবে শান্তিতে ছিল না। তারপর তারা ব্যালকনির দরজার দিকে গেলেন। ছিটকিনি খুলে বাইরে এলেন। ব্যালকনির রেলিং এর পাশে লোকটার অন্য চটিটি পাওয়া গেলো। মনে হয় লাফ দেওয়ার সময় খুলে পড়ে গেছে। ইন্সপেক্টর সাহেব রেলিং এ ঝুলে নিচে লাশটির দিকে তাকালেন। লাশটি উপুড় হয়ে আছে। লাশটির দিকে তাকিয়ে তিনি বললেন "এটি ঠান্ডা মাথায় খুন।"
ইন্সপেক্টর সাহেব কীভাবে বুঝলেন এটা আত্মহত্যা নয় খুন?




উত্তর

১• বন্ধুটি অন্ধ এবং ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখা বই পড়ছিল।

২• সবগুলো ট্যাবলেটেরই অর্ধেক খাবে। এতে করে সম্পূর্ণ একটি লাল ও সম্পুর্ণ একটি নীল খাওয়া হবে।

৩• কবিরুল বিষ বানায়নি। সে চেয়েছিল, মকবুল প্রথমে তার বিষহীন পানীয় খাবে এবং পরে নিজের বিষটুকু খেয়ে মারা যাবে। আবার আসার সময় সে বাড়ি থেকেই বিষ খেয়ে এসেছিল যাতে পরে মকবুলের শক্তিশালী বিষ খেয়ে বিষমুক্ত হতে পারে। মকবুল ব্যাপারটা ধরে ফেলেছিল। ফলে সেও বিষহীন পানীয় বানিয়েছিল। ফলে কবিরুল বাড়ি থেকে যে বিষ পান করে এসেছিল তার প্রভাবে মৃত্যুবরণ করে এবং প্রধানের পরিকল্পনাও আসলে ভেস্তে যায়। কারণ সে নিজেও জানে না যা সে বিষ ভাবছে তা আসলে কোন বিষই না।

৪• কালো রঙের কোন কিছু নিয়ে প্রশ্ন করার পর যে প্রশ্নটি করা হবে সেটার উত্তর ই হ্যাঁ হবে।

৫• লোকটি আত্মহত্যা করলে অবশ্যই ব্যাালকনির দরজার ছিটকিনি লাগানো থাকতো না।


মজার প্রশ্ন-৪



গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা


ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরসহ ১২টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা


গণিতের মজার ধাঁধা-৩| উত্তরসহ ১০টি ভীষণ মজার গণিতের ধাঁধা


গল্পে গল্পে ধাঁধা-৮| উত্তরসহ ৮টি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা

মজার প্রশ্ন-৫| উত্তরসহ ১৫টি ভীষণ মজার প্রশ্ন

ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৬| উত্তরসহ ১৩টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা

গল্পে গল্পে ধাঁধা-১২| উত্তরসহ ৫টি ভীষণ মজার গল্পের ধাঁধা



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গণিতের মজার ধাঁধা:১ - মজার ধাঁধার আসর| উত্তরসহ মজার মজার সব ধাঁধা ২০২০

মজার মজার অংক ধাঁধা-১|উত্তরসহ|মজার ধাঁধার আসর ১• যদি, কাজ হলো আনন্দ=৫৬৪ সময় হলো টাকা =৫৩৭ সময় হলো আনন্দ = ৩৫৬ হয়, তাহলে, কাজ=? টাকা=? উত্তর কাজ = ৪ টাকা = ৭ ব্যাখ্যা: "হলো" সব লাইনে আছে। আবার পাঁচ সব সংখ্যায় আছে। তাই "হলো" = ৫। ২য় ও ৩য় লাইনে "সময়" কমন। আবার সংখ্যা দুটিতে ৩ কমন। তাই সময় = ৩। কাজ এবং ৪ আছে শুধু ১ম লাইনে। তাই কাজ = ৪। টাকা এবং ৭ আছে শুধু ২য় লাইনে। আর তাই টাকা = ৭। ২•বলুন তো প্রশ্ন চিহ্নিত স্থানে কোন সংখ্যাটি বসবে? ১+৪=৫ ২+৫=১২ ৩+৬=২১ ৪+৭=৩২ ৮+১১= ? উত্তর ৯৬ আজকের ধাঁধা - ২৯শে জুন, ২০২০ আজকের ধাঁধা - ২৭শে জুন, ২০২০ গল্পধাঁধা-১ ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-১ ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৩ গণিতের মজার ধাঁধা-২ ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৪ মজার প্রশ্ন-৪ গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরসহ ১২টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা গণিতের মজার ধাঁধা-৩| উত্তরসহ ১০টি ভীষণ মজার গণিতের ধাঁধা গল্পে গল্পে ধাঁধা-৮| উত্তরসহ ৮টি ভীষণ গল্প ধাঁধা ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৬| উত্তরসহ ১৩টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরস

গল্পে গল্পে ধাঁধা-১: মজার ধাঁধার আসর|উত্তরসহ মজার মজার সব ধাঁধা ২০২০

১• যুদ্ধে হেরে তুমি আর তোমার আটজন সৈন্য শত্রুপক্ষের রাজ্যে বন্দী হলে। রাজা তোমার মুক্তির জন্য একটা শর্ত দিলেন। প্রথমে তোমাদের সবাইকে অজ্ঞান করে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তোমরা চারদিকে চারটা রাস্তা দেখতে পাবে। চারটি রাস্তার যেকোন একটি রাস্তা একটি গ্রামে গিয়ে পৌঁছেছে। সেই গ্রামে যদি তোমরা পৌঁছাতে পারো তাহলে সবাই বেঁচে যাবে। বাকি রাস্তাগুলো গভীর অরণ্যে গিয়ে পৌঁছেছে, যেখানে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। রাস্তা ধরে এগোলে ঠিক আট ঘণ্টা পর গ্রামের দেখা পাওয়া যাবে। না পাওয়া গেলে বুঝতে হবে সেই রাস্তাটা গভীর জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছেছে। তোমার হাতে সময় থাকবে চব্বিশ ঘণ্টা। এই চব্বিশ ঘণ্টার ভেতর যদি তুমি গ্রামটা বের করতে না পারো তাহলে খিদা ও তৃষ্ণায় তোমরা সবাই মারা যাবে। আর গ্রামটা যদি বের করতে পারো তাহলে তোমরা সবাই মুক্ত। রাজার কথা মত অচেতন অবস্থায় সেই ধু ধু মরুভুমিতে তোমাদের রেখে আসা হলো। জ্ঞান ফিরতেই তুমি তোমার হাতে একটি চিঠি দেখতে পেলে। তাতে লেখা আছে, তোমার সৈন্যদের মধ্যে দুজন হলো রাজার অনুচর। তারা যেভাবে পারে গ্রামটি খুঁজে বের করতে তোমাদের জন্য বাঁধার সৃষ্টি করবে। কিন্তু তোমাদেরকে কোন আঘাত তারা কর

গল্পে গল্পে ধাঁধা- ৭| পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা| উত্তরসহ| মজার ধাঁধার আসর

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭|উত্তরসহ| মজার ধাঁধার আসর| মজার মজার সব ধাঁধা গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা গল্পে গল্পে ধাঁধা-৪ গল্প ধাঁধা-৫ ১• এক দেশে ছিল এক রাজা। রাজার ছিল সাত ছেলে। ছেলেদের মধ্যে কাকে যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিবেন তা নিয়ে রাজা খুব চিন্তিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অনেক চিন্তা করে একটা উপায় বের করলেন। সাতে ছেলেকে সাতটা টব আর একটি করে বীজ দিয়ে বললেন, যে এই বীজ থেকে সবচেয়ে পুষ্ট আর সুন্দর গাছ এই টবে ফলাতে পারবে সেই তার রাজত্বের যোগ্য উত্তরসূরি হবে। কিছুদিন পর রাজা সব ছেলেকে ডেকে পাঠালেন। সবাই টব নিয়ে রাজার সামনে হাজির হলো। রাজা দেখলেন, সবার টবেই খুব সুন্দর তরতাজা হৃষ্টপুষ্ট গাছ হয়েছে। শুধু দুই নম্বর ছেলের টবে খুব দূর্বল একটা গাছ কোন রকমে দাঁড়িয়ে আছে। রাজা দুই নম্বর ছেলেকেই তার উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিলেন। কেন? ২• মি: এবং মিসেস চৌধুরী তাদের দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে ছুটি কাটাতে এসেছেন। তারা উঠেছেন একটি হোটেলে। তাদের রুম নম্বর ১০৮। ঐ একই হোটেলে ১০৪ নম্বর রুমে সফিক নামের এক লোক একা উঠেছে। সফিকের সাথে চৌধুরী পরিবারের পরিচয় হল এবং চৌধুরী সাহেবের ছেলেম