গল্পে গল্পে ধাঁধা-৮| উত্তরসহ দারুণ মজার আটটি গল্প ধাঁধা - মজার ধাঁধা, ২০২১                                                             > সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৮| উত্তরসহ দারুণ মজার আটটি গল্প ধাঁধা

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৮|উত্তরসস দারুণ মজার আটটি গল্প ধাঁধা| মজার ধাঁধার আসর| মজার মজার সব ধাঁধা



গল্পে গল্পে ধাঁধা-৮| দারুণ মজার আটটি গল্প ধাঁধা

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৪


গল্প ধাঁধা-৫

১•
গভীর রাত। সুনসান নীরবতা চারিদিকে। একজন কালো বয়স্ক দাড়িওয়ালা লোক হেঁটে যাচ্ছিল রাস্তা দিয়ে। পেছন পেছন আসছিল একজন আততায়ী। তার পরনে ছিল কালো কোট। মুখে মাস্ক আর হাতে ছিল একটা রিভলভার। হঠাৎই আততায়ীর গুলিতে বিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লো বৃদ্ধ লোকটা এবং সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো। আশেপাশে আর কারো অস্তিত্ব ছিল না পুলিশ আসার আগ পর্যন্ত। পাঁচ মিনিট পরই খবর পেয়ে পুলিশ এলো ঘটনাস্থলে। এখন প্রশ্ন হলো পুলিশকে কে খবর দিলো? (গুলির শব্দ শুনে আসে নাই।)

২•
এক লোক তার স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে কোথাও যাচ্ছিল। রাস্তায় হঠাৎ এক্সিডেন্ট হলো। ছেলেটি মাথায় আঘাত পেলো। তারা সবাই তাড়াতাড়ি হাসপাতালে গেলো। কিন্তু হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার বলল, আমি ওর অপারেশন করতে পারবো না। ও আমার ছেলে। ব্যাপারটা কী?

৩•
কেউ আপনাকে অজ্ঞান করে কিডন্যাপ করলো। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন আপনি নিজেকে ছোট্ট একটি ঘরে বন্দি পেলেন। সেই ঘরে না আছে দরজা না আছে জানালা। শুধু একটা পানির কল আছে। সেই কল দিয়ে অনবরত পানি পড়ে যাচ্ছে। ঘরে একটা ছোট্ট লাঠি আর বোতল ছাড়া আর কিছু নেই। কোন দরজা ছাড়া এই ঘরে আপনাকে কীভাবে বন্দি করা হয়েছে তাও আপনি বুঝতে পারছেন না। এদিকে দ্রুত ঘরের পানি বাড়তে বাড়তে আপনার কোমর সমান হয়ে গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো ঘর পানিতে ভরে যাবে এবং সেই পানিতে হাবুডুবু খেয়ে আপনার মৃত্যু হবে। এখন কী করে আপনি এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবেন।

৪•
এক প্রেমিক যুগল একসাথে আত্মহত্যা করবে বলে একটি দশতলা বিল্ডিং এর ছাদের উপর উঠলো। তারা ছাদ থেকে একসাথে লাফ দেয়ার জন্য ছাদের কিনারে এসে দাঁড়ালো। কিন্তু লাফ দেয়ার পর দেখা গেলো ছেলেটি ঠিকই লাফ দিয়েছে কিন্তু মেয়েটি তখনও ছাদে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এক সময় দেখা গেলো ছেলেটি নিচে পড়তে পড়তেও শেষ পর্যন্ত পড়লো না। কারণ মাটিতে পড়ার আগেই তার প্যারাশুটটা খুলে গেলো। এখন বলতে হবে এখানে কার অবিশ্বাসী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি?

৫•
এই ভ্রমণটা তুমি সাধারণত একাই করো। তোমার পরিচিতরা হয়তো পাশেই। তাদের পাশে থেকেই তুমি শুরু করো তোমার একাকী ভ্রমণ অচেনা পথে। অচেনা মানুষ। অচেনা রাস্তাঘাট। অচেনা সব। তবু তোমার ভালো লাগে অচেনা পথে এই একা পথ চলা। তুমি থামতে চাওনা পথের শেষটা না দেখে। তবু এই পথে মাঝে মাঝে তোমায় থামতে হয়। যদি তুমি থামো তবে থাকে হারানোর ভয়। কিন্তু তুমি হারাও না। কারন এই একাকী পথে সে থাকে সব সময়। কতো না পাহাড়, কতো না সাগর পাড়ি দেও তুমি একা। তবু তুমি পথ হারাও না। সে তোমাকে হারিয়ে যেতে দেয় না কখনো। কে সে? কোন ভ্রমণ?

৬•
সুমন তার বন্ধুর বাসায় এসেছে। গেট পেরিয়ে বিশাল উঠানে পা দিতেই সে দেখলো ঘরে যাওয়ার দরজা থেকে প্রায় পাঁচ হাত দূরে একটি বিশাল গাছের সাথে প্রায় পাঁচ হাত লম্বা দড়ি দিয়ে একটি কুকুর শক্ত করে বাঁধা। কুকুরটা তাকে দেখেই তার দিকে ঘেউ ঘেউ করে ধেয়ে আসলো। সে কিছুতেই ওটাকে ফাঁকি দিয়ে দরজা পর্যন্ত যেতে পারছে না। হঠাৎ সুমনের মাথায় একটি বুদ্ধি এলো। বুদ্ধিটা কাজে লাগিয়ে সে সহজেই ঘরের ভেতর চলে গেলো। বুদ্ধিটা কি?

৭•
রবিন এপ্রিলে চিটাগাং থেকে ঢাকা গেলো। সেখানে সে পাঁচ মাস থাকলো।তারপর দুইমাস সে নরসিংদিতে রইলো। নরসিংদি থেকে আবার ঢাকা গিয়ে আরো এক মাস থাকলো। ঢাকায় একমাস থেকে জুন মাসে সে চিটাগাং ফিরে এলো। এটা কীভাবে সম্ভব?

৮•
১৯৩০ সাল। বাবা ছেলেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তার বীরত্বের কাহিনী শুনাচ্ছেন। তিনি একটি তলোয়ার এনে ছেলেকে দেখালেন। বললেন এই তলোয়ারটি তাকে সেই সময় যুদ্ধে অসাধারণ বীরত্বের জন্য সম্মাননা পুরস্কার স্বরূপ দেয়া হয়। ছেলে তলোয়ারটি হাতে নিয়ে দেখে তাতে সত্যি সত্যি তার বাবার নাম খচিত। "প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্বের জন্য সম্মাননা পুরস্কার। বীর যোদ্ধা মার্ক ডি গ্রস।" এভাবে লিখা। হঠাৎ ছেলে বলে উঠলো, "বাবা গুল মেরো না।" ছেলে কীভাবে বুঝলো বাবা গুল মারছে?



উত্তর

১• যে মরেছে সেই, কেউ তার পিছু লেগেছে টের পেয়ে পুলিশকে খবর দিয়েছে। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই খুনী তার কাজ সেরে গেছে।

২• ছেলেটি মাথায় আঘাত পেয়েছে। কিন্তু শুধু সেই আঘাত পেয়েছে এমন তো না। আরো বেশি আঘাত পেয়েছে ছেলেটার বাবা অর্থাৎ লোকটা। অপারেশনটা লোকটারই দরকার ছিল। আর কর্তব্যরত ডাক্তার ছিল লোকটার বাবা অর্থাৎ ছেলেটার দাদা।

৩• কলটা বন্ধ করে দিলেই হবে।

৪• প্রশ্নটা ছিল কার অবিশ্বাসী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দুজনেরই অবিশ্বাসী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু ছেলের ক্ষেত্রেই পাল্লাটা বেশি ভারী। কারণ সে আগে থেকেই প্ল্যান করে সাথে করে প্যারাশুট নিয়ে এসেছে। আর মেয়েটার ভয় পেয়ে লাফ না দেয়ার সম্ভাবনা আছে। যদি বলা হয় ছেলেটা মেয়েটাকে আগেই সন্দেহ করেছিল তাই পরীক্ষা করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছিল, তাহলেও সে অবিশ্বাসী। যে ছেলে নিজেকে নিরাপদ রেখে প্রেমিকা বিশ্বাসী কী না সেটা যাচাই করার জন্য প্রেমিকাকে মৃত্যুর মুখেই ঠেলে দেয় তাকে কী বলা যায়? তাই ছেলেটার অবিশ্বাসী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

৫• বই এর জগতে ভ্রমণ। সে হলো bookmark যে আমাদের হারাতে দেয় না যে জায়গায় আমরা থেমেছিলাম সেই জায়গাটি থেকে।
৬• গাছের চারদিকে চক্রাকারে দৌড়ে। এতে কুকুরটাও তার সাথে চক্রাকারে দৌড়াবে। ফলে দড়ি গাছের সাথে পেঁচিয়ে ছোট হয়ে যাবে।

৭• সে এপ্রিল মাসে না, এপ্রিল নামক বাসে করে ঢাকা গিয়েছে।

৮• তলোয়ারে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ লেখা থাকার কথা না। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখনো হয়নি।

গণিতের মজার ধাঁধা-১

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৩

ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৪

মজার প্রশ্ন-৪

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা

ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরসহ ১২টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৮| উত্তরসহ ৮টি ভীষণ গল্প ধাঁধা

ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৬| উত্তরসহ ১৩টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৯| উত্তরসহ ৮টি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা

মজার প্রশ্ন- ৬| উত্তরসহ ১০টি ভীষণ মজার প্রশ্ন

গল্পে গল্পে ধাঁধা-১২| উত্তরসহ ৫টি ভীষণ মজার গল্পের ধাঁধা


গল্পে গল্পে ধাঁধা-১| উত্তরসহ ভীষণ মজার কিছু গল্পের ধাঁধা





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গণিতের মজার ধাঁধা:১ - মজার ধাঁধার আসর| উত্তরসহ মজার মজার সব ধাঁধা ২০২০

মজার মজার অংক ধাঁধা-১|উত্তরসহ|মজার ধাঁধার আসর ১• যদি, কাজ হলো আনন্দ=৫৬৪ সময় হলো টাকা =৫৩৭ সময় হলো আনন্দ = ৩৫৬ হয়, তাহলে, কাজ=? টাকা=? উত্তর কাজ = ৪ টাকা = ৭ ব্যাখ্যা: "হলো" সব লাইনে আছে। আবার পাঁচ সব সংখ্যায় আছে। তাই "হলো" = ৫। ২য় ও ৩য় লাইনে "সময়" কমন। আবার সংখ্যা দুটিতে ৩ কমন। তাই সময় = ৩। কাজ এবং ৪ আছে শুধু ১ম লাইনে। তাই কাজ = ৪। টাকা এবং ৭ আছে শুধু ২য় লাইনে। আর তাই টাকা = ৭। ২•বলুন তো প্রশ্ন চিহ্নিত স্থানে কোন সংখ্যাটি বসবে? ১+৪=৫ ২+৫=১২ ৩+৬=২১ ৪+৭=৩২ ৮+১১= ? উত্তর ৯৬ আজকের ধাঁধা - ২৯শে জুন, ২০২০ আজকের ধাঁধা - ২৭শে জুন, ২০২০ গল্পধাঁধা-১ ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-১ ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৩ গণিতের মজার ধাঁধা-২ ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৪ মজার প্রশ্ন-৪ গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরসহ ১২টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা গণিতের মজার ধাঁধা-৩| উত্তরসহ ১০টি ভীষণ মজার গণিতের ধাঁধা গল্পে গল্পে ধাঁধা-৮| উত্তরসহ ৮টি ভীষণ গল্প ধাঁধা ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৬| উত্তরসহ ১৩টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরস

গল্পে গল্পে ধাঁধা-১: মজার ধাঁধার আসর|উত্তরসহ মজার মজার সব ধাঁধা ২০২০

১• যুদ্ধে হেরে তুমি আর তোমার আটজন সৈন্য শত্রুপক্ষের রাজ্যে বন্দী হলে। রাজা তোমার মুক্তির জন্য একটা শর্ত দিলেন। প্রথমে তোমাদের সবাইকে অজ্ঞান করে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তোমরা চারদিকে চারটা রাস্তা দেখতে পাবে। চারটি রাস্তার যেকোন একটি রাস্তা একটি গ্রামে গিয়ে পৌঁছেছে। সেই গ্রামে যদি তোমরা পৌঁছাতে পারো তাহলে সবাই বেঁচে যাবে। বাকি রাস্তাগুলো গভীর অরণ্যে গিয়ে পৌঁছেছে, যেখানে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। রাস্তা ধরে এগোলে ঠিক আট ঘণ্টা পর গ্রামের দেখা পাওয়া যাবে। না পাওয়া গেলে বুঝতে হবে সেই রাস্তাটা গভীর জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছেছে। তোমার হাতে সময় থাকবে চব্বিশ ঘণ্টা। এই চব্বিশ ঘণ্টার ভেতর যদি তুমি গ্রামটা বের করতে না পারো তাহলে খিদা ও তৃষ্ণায় তোমরা সবাই মারা যাবে। আর গ্রামটা যদি বের করতে পারো তাহলে তোমরা সবাই মুক্ত। রাজার কথা মত অচেতন অবস্থায় সেই ধু ধু মরুভুমিতে তোমাদের রেখে আসা হলো। জ্ঞান ফিরতেই তুমি তোমার হাতে একটি চিঠি দেখতে পেলে। তাতে লেখা আছে, তোমার সৈন্যদের মধ্যে দুজন হলো রাজার অনুচর। তারা যেভাবে পারে গ্রামটি খুঁজে বের করতে তোমাদের জন্য বাঁধার সৃষ্টি করবে। কিন্তু তোমাদেরকে কোন আঘাত তারা কর

গল্পে গল্পে ধাঁধা- ৭| পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা| উত্তরসহ| মজার ধাঁধার আসর

গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭|উত্তরসহ| মজার ধাঁধার আসর| মজার মজার সব ধাঁধা গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা গল্পে গল্পে ধাঁধা-৪ গল্প ধাঁধা-৫ ১• এক দেশে ছিল এক রাজা। রাজার ছিল সাত ছেলে। ছেলেদের মধ্যে কাকে যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিবেন তা নিয়ে রাজা খুব চিন্তিত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অনেক চিন্তা করে একটা উপায় বের করলেন। সাতে ছেলেকে সাতটা টব আর একটি করে বীজ দিয়ে বললেন, যে এই বীজ থেকে সবচেয়ে পুষ্ট আর সুন্দর গাছ এই টবে ফলাতে পারবে সেই তার রাজত্বের যোগ্য উত্তরসূরি হবে। কিছুদিন পর রাজা সব ছেলেকে ডেকে পাঠালেন। সবাই টব নিয়ে রাজার সামনে হাজির হলো। রাজা দেখলেন, সবার টবেই খুব সুন্দর তরতাজা হৃষ্টপুষ্ট গাছ হয়েছে। শুধু দুই নম্বর ছেলের টবে খুব দূর্বল একটা গাছ কোন রকমে দাঁড়িয়ে আছে। রাজা দুই নম্বর ছেলেকেই তার উত্তরসূরি হিসেবে বেছে নিলেন। কেন? ২• মি: এবং মিসেস চৌধুরী তাদের দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে ছুটি কাটাতে এসেছেন। তারা উঠেছেন একটি হোটেলে। তাদের রুম নম্বর ১০৮। ঐ একই হোটেলে ১০৪ নম্বর রুমে সফিক নামের এক লোক একা উঠেছে। সফিকের সাথে চৌধুরী পরিবারের পরিচয় হল এবং চৌধুরী সাহেবের ছেলেম