১• তোমার কাছে একুশটা জুসের বোতল আছে। বোতল গুলোর সাতটি পূর্ণ, সাতটি ঠিক ঠিক অর্ধেক পূর্ণ, আর সাতটি খালি। এখন এই একুশটি বোতল তিনটি বাচ্চার মধ্যে তুমি এমনভাবে ভাগ করে দিতে চাও যাতে প্রত্যেক বাচ্চা সমান জুস ও বোতল পায়। অর্থাৎ পূর্ণ, অর্ধেক পূর্ণ এবং খালি বোতলগুলো সমান ভাবে প্রত্যেকের ভাগে পড়তে হবে। তোমার কাছে কোন পরিমাপের সরঞ্জাম নাই। শুধুই বোতলগুলো আছে। এখন তুমি কীভাবে কাজটি সঠিকভাবে করবে? উত্তর ইনবক্সে। কমেন্টে হাজিরা।
২• ২২, ৪৪, ৪৬, ৯২, ৯৪, ১৮৮, ?
৩• ১০০০ বোতল জুসের একটিতে পুরোটাই বিষ। এই বিষ এক ফোঁটাও যদি অন্য জুসে পড়ে পুরো জুস বিষাক্ত এবং তেতো হয়ে যাবে। বিষ আর জুস দেখতে একই রকম। তাই দেখে আলাদা করার উপায় নেই। এক বিন্দু জুস জিহ্বায় লাগিয়ে স্বাদটা পরীক্ষা করা যাবে। সর্বনিম্ন কতবার এইরকম পরীক্ষা করে বিষাক্ত জুসটা নিশ্চিত ভাবে বের করা যাবে? উল্লেখ্য এখানে বিষক্ষয়কারী ঔষধ আছে। তাই দুর্ঘটনার কোন আশংকা নেই।
১• উত্তর-৪টি অর্ধপূর্ণ বোতলের দুইটির জুস বাকি দুটোতে ঢেলে ২টি পূর্ণ বোতল বানিয়ে নিতে হবে। তাহলে পূর্ণ হবে ৭+২=৯ টি, অর্ধপূর্ণ হবে ৭-৪=৩ টি, খালি হবে ৭+২=৯ টি। তাহলে প্রত্যেকে পাবে ৩টি করে পূর্ণ, ১টি করে অর্ধপূর্ণ ও ৩টি করে খালি বোতল।
২• ১৯০
৩• উত্তর - প্রথমে জুসের বোতলগুলো দুইভাগে বিভক্ত করতে হবে। প্রতি ভাগে ৫০০ বোতল থাকবে। এক ভাগের ৫০০ বোতল থেকে ৫০০ ফোঁটা জুস নিয়ে একটি পাত্রে মেশাতে হবে। তার থেকে এক ফোঁটা জুস নিয়ে জিহ্বায় লাগিয়ে স্বাদটা দেখতে হবে। যদি তেতো হয় তবে এই পাঁচশোতেই বিষ আছে। আর না হলে অপর পাঁচশততে। যে পাঁচশততে বিষ আছে মনে হবে সেই পাঁচশতকে আবার দুইভাগ করতে হবে আড়াইশত করে। এভাবে চলতে থাকবে। দশবারে অবশ্যই আসল বিষ বেরিয়ে আসবে।
৫০০ - একবার স্বাদ টেস্ট
২৫০- দুইবার
১২৫- তিনবার
৬৩- চারবার
৩২ - পাঁচবার
১৬ - ছয়বার
৮ - সাতবার
৪- আটবার
২ - নয়বার
মানে সর্বশেষে দুই ভাগে দুইটি করে থাকবে। একভাগের দুইটি টেস্ট করার সময় হবে নবম টেস্ট। এক ভাগের দুইটি তে না থাকলে অন্যভাগের দুইটির একটি অবশ্যই হবে। অন্যভাগের দুইটির একটি টেস্ট করার সময় হবে দশম এবং শেষ টেস্ট। এই টেস্টের মাধ্যমেই বিষাক্ত জুসটি শনাক্ত হয়ে যাবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন