গল্পে গল্পে ধাঁধা - ৫: মজার ধাঁধার আসর| মজার মজার সব ধাঁধা
১•এক দিনাজপুর থেকে চাউল নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশ্যে একটা ট্রাক (কাভার্ড ভ্যান টাইপের) রওয়ানা দিলো। রওনা হওয়ার সময় ওজন মাপার ব্রিজে দেখা গেল সবসহ ট্রাকটার ওজন কাঁটায় কাঁটায় ১০ টন। কিছুদিন আগের বন্যায় দিনাজপুর থেকে বগুড়ার মাঝপথে একটা সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় সেখানে একটা বেইলি ব্রীজ বানিয়ে রাখা হয়েছে। উন্নততর পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে এই বেইলি ব্রীজটার ভারবহন ক্ষমতাও ঠিক ১০টন, এর চেয়ে সামান্য বেশি হলেও হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়বে। তো সেই ব্রীজে ওঠার আগে স্পিডব্রেকারে যেই না ট্রাকের গতি কমিয়েছে, ওমনি কোত্থেকে এক দুষ্ট ছেলে ২ কেজি ওজনের একটা বিড়ালকে ট্রাকের বাম্পারে বসিয়ে দিল। ঐ বেড়ালটা ট্রাক থেকে নামার আগেই ওটাকে নিয়ে ট্রাক সেতু পার হয়ে গেল। প্রশ্ন হল: সেতু ভেঙ্গে পড়লো না কেন?
উত্তর : অতো দূর আসতে ২ লিটারের অনেক বেশিই তেল খরচ হয়ে গেছে। তাই কোনো সমস্যা হয়নি।
২•ধরো তুমি একটা অন্ধকার ঘরে ঢুকেছো। তোমার হাতে একশতটা কয়েনের একটা বাটি। এখন তুমি আলো জ্বালতে যাবে তার আগেই কয়েনগুলো নিচে পড়ে গেলো। উপরে দিকে হেডস নিয়ে পড়েছে দশটা আর উপরের দিকে টেইলস নিয়ে পড়েছে নব্বইটা। কিন্তু ঘর তো অন্ধকার, তুমি সেগুলোর কিছুই দেখতে পাচ্ছো না। এখন কয়েনগুলোকে তুমি দুইভাগে বিভক্ত করবে। এমনভাবে বিভক্ত করবে যাতে আলো জ্বাললে দেখা যায় দুই ভাগেই সমান সংখ্যক হেডস উপরের দিকে আছে। দুইভাগে কোন ভাগে কতটি কয়েন থাকলে ব্যাপারটা বোঝা যাবে শুধু সেটাই উল্লেখ করতে হবে। যেমন - 45/55 এভাবে।
উত্তর - যেহেতু আমরা জানি কয়েনগুলোর মধ্যে দশটি হেডস উপরের দিকে আছে তাই কয়েনগুলোকে নব্বই ও দশ এই দুই ভাগে ভাগ করলেই হবে। তবে ভাগ করার সময় কোন উলটপালট হতে পারবে না। শুধু ভাগ করার পর একটা ব্যাপার করতে হবে। দশটি যে ভাগে আছে সেই ভাগের সব কয়েন উল্টে দিলেই হবে। ব্যস কেল্লা ফতে। দুই ভাগেই সমান হেড পাওয়া যাবে। ধরো দশটা যেভাগে আছে সেই ভাগে সবগুলোই টেইল আসলো। তারমানে দশটা হেড নব্বই এর ভাগে রয়ে গেছে। এখন আমি যদি দশের ভাগের সব গুলো টেইল উল্টে দেই তাহলে দশটি হেডস পেয়ে যাবো। আবার ধরো দশের ভাগে একটা হেড এসেছে, তার মানে নব্বই এর ভাগে নয়টা হেড রয়ে গেছে। এখন দশের ভাগ পুরোটা উল্টে ফেলো। দশের ভাগে নয়টি হেড পেয়ে যাবে। আশা করি আর বুঝাতে হবে না। বাকিটুকু নিজেরাই বুঝে নিবে।
৩•সোহান তার বিড়াল টমকে সাথে নিয়ে প্রতিদিন ছয় কিলোমিটার হাঁটে। টম একটু অলস স্বভাবের। সে হাই তুলতে তুলতে ধীরে ধীরে হাঁটে। তো সোহান যখন তার তিন কিলোমিটার হাঁটা পূর্ণ করে ফেরার জন্য ঘুরে দাঁড়ায়, টম তখন ঠিক মধ্যপথে। অর্থাৎ টমের হাঁটার গতি সোহানের ঠিক অর্ধেক। সোহান ঘুরেই আবার হাঁটা শুরু করে এবং কিছুক্ষণ হাঁটার পর তার সাথে টমের দেখা হয়। টম সেখান থেকেই তার মনিবকে আবার অনুসরণ করা শুরু করে একই গতিতে। এক পর্যায়ে তারা দুজনেই ফিরে আসে যেখান থেকে হাঁটা শুরু করেছিল সেই জায়গায়। টম মোট কত কিলোমিটার হাঁটে?
উত্তর -৪ কিমি। সোহান যখন ৩কিমি গেলো তখন টম গেলো দেড় কিমি। সোহান যখন ঘোরে এক কিমি ফিরে এলো তখন টম আরো আধা কিমি এগোলো। অর্থাৎ টম দুই কিমি হাঁটলো। আর এখানেই দুজনের সাক্ষাত হলো। এখান থেকেই টম আবার তার মনিবকে অনুসরণ করা শুরু করলো এবং যে দুই কিমি সে হেঁটে গিয়েছিলো সেই দুই কিমি আবার হেঁটে ফিরলো। অতএব সে চার কিমি হাঁটলো।
গল্পে গল্পে ধাঁধা-৭| উত্তরসহ পাঁচটি ভীষণ মজার গল্প ধাঁধা
ছন্দে ছন্দে ধাঁধা-৫| উত্তরসহ ১২টি ভীষণ মজার ছন্দের ধাঁধা
গল্পে গল্পে ধাঁধা-১২| উত্তরসহ ৫টি ভীষণ মজার গল্পের ধাঁধা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন